চবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে অনশনে হামলায় আহত ৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি পক্ষের অনশন চলার সময় অপর পক্ষের হামলায় পাঁচজন আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2015, 12:19 PM
Updated : 23 May 2015, 01:20 PM

শনিবার সকালে সাতকানিয়া উপজেলা প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ‘মুক্তিযোদ্ধা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র প্রতীকী অনশনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাতকানিয়া উপজেলা কমান্ড এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

আহতরা হলেন- মোহাম্মদ ইদ্রিস, সুভাষ চৌধুরী, আহমদুর রহমান, নুরুল আলম চৌধুরী ও শশাঙ্ক বিমল চৌধুরী। এরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

গত ৪ মে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ারুল আজিম আরিফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযোদ্ধা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

৬ মে উপাচার্যের পক্ষ নিয়ে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাতকানিয়া উপজেলা কমান্ড।

শনিবার সকাল ১০টায় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে মানববন্ধন কর্মসূচির জন্য পুলিশের বিশেষ শাখা ও প্রেস ক্লাব কতৃপক্ষের অনুমতি পায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাতকানিয়া উপজেলা কমান্ড।

এর আগেই সাড়ে ৯টায় সেখানে চবি উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে প্রতীকী অনশন শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

পরিষদের কর্মসূচি শুরুর সময় সাতকানিয়া উপজেলা কমান্ডের প্রায় ৫০-৬০ জন গিয়ে সেখানে হামলা চালায়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার এসআই আমিনুর রসুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিসের নেতৃত্বে অনশন কর্মসূচির জন্য মাইক বাঁধার সময় সেখানে আসে সাতকানিয়া কমাণ্ড কাউন্সিলের লোকজন।

“তারা মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিসের অনৈতিক কার্যকলাপের প্রতিবাদে ও তার গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করার কথা ছিল। তাদের ধাওয়া খেয়ে ইদ্রিস ও তার লোকজন সেখান থেকে চলে যায়। আমি শুনেছি তাকে মারধর করা হয়েছে।”

এই ঘটনার পর প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সাতকানিয়া উপজেলা কমান্ডের মানববন্ধন করতে নিষেধ করে পুলিশ।

পরে সংগঠনের নেতাকর্মীরা অদূরে চেরাগী পাহাড়সংলগ্ন এলাকায় গিয়ে মানববন্ধন করে বলে জানান এসআই আমিনুর রসুল।

হামলার বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মুহাম্মদ আবু তাহের গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “মোহাম্মদ ইদ্রিসের নেতৃত্বে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের মানববন্ধনে বাঁধা দেয়। পরে মানববন্ধনে আসা সাতকানিয়ার মুক্তিযোদ্ধারা ইদ্রিসকে ধোলাই দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।”

মোহাম্মদ ইদ্রিস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “শান্তিপূর্ণ প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে মুহাম্মদ আবু তাহেরের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে আমাদের পাঁচ জনকে আহত করেছে।

“চবি উপাচার্যের অপকর্মের বিরুদ্ধে কর্মসূচি পালন করায় এ হামলা করা হয়।”