‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যাত্রীদের জিম্মি করেছে’

সোহাগ পরিবহনে ডাকাতির ঘটনায় আটক চালক ও সহকারীকে ছাড়িয়ে নিতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যাত্রীদের জিম্মি করেছে বলে অভিযোগ করেছে ফরিদপুর পুলিশ।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2015, 03:42 PM
Updated : 22 May 2015, 03:42 PM

শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জামিল হাসান তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, ১৯ মে ভোরে ডাকাতির শিকার বাসের ২২ যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ চালক আয়নাল ও হেলপার শাকিলকে গ্রেপ্তার করেছে।

যাত্রীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, যাত্রীবেশী সাত ডাকাত আশুলিয়া থেকে ওই বাসে ওঠে। ফরিদপুর শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় পার হওয়ার পর ওই ডাকাতরা বিনা বাধায় চালকের কাছ থেকে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

ডাকাতি শেষ করে চলে যাওয়ার পরও বাসের চালক, সুপারভাইজার বা হেলপার কেউই যাত্রীদের দাবি সত্বেও ঘটনাটি পুলিশকে জানায়নি।

পরে যাত্রীদের চাপে বাধ্য হয়ে চালক বাসটি দাঁড় করালে যাত্রীরাই মধুখালী থানায় ফোন করে ঘটনাটি জানান।

পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করছেন মন্তব্য করে এসপি বলেন, “মধুখালী থানায় যাওয়ার পর পুলিশ চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের এই দাবি আদৌ সত্য নয়।

“যাত্রীরা তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ করার পর চালক ও হেলপারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।”

তিনি বলেন, “মালিক সমিতির নেতারা আমার কাছে বাস চালক ও হেলপারের জামিনের ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছে। কিন্তু আমার পক্ষে কোনোভাবেই সহযোগিতা করা সম্ভব নয়।”

জামিন দেওয়ার বিষয়টি আদালতের এখতিয়ার বলে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

“পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা জনগণকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে ও তাদের জিম্মি করে ধর্মঘট করে বাস ডাকাতির মামলার আসামিদের জামিনের সুযোগ নিতে চায়,” বলেন তিনি।

বাস ডাকাতির ঘটনায় সোহাগ পরিবহনের বাসটির চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করে মধুখালী থানা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে সারোয়ার হোসেন নামে বাসটির যাত্রী বাদী হয়ে মধুখালী থানায় একটি ডাকাতির মামলা করেছেন। পরে মধুখালীতে মহাসড়ক অবরোধের অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা করে পুলিশ।

এই ঘটনার পর ১৯ মে থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা ধর্মঘটের ডাক দেয়। এতে দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ যাত্রীরা।