শুক্রবার বিকালে বিআরটিসির আন্তর্জাতিক বাস ডিপোতে পরীক্ষামূলক এ সেবার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের একটি ২৬ আসনের বাসে ২২ সরকারি কর্মকর্তা গুয়াহাটির পথে রওনা দেন।
ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “দুদেশের সম্পর্ক বহুমাত্রিক, পিপল টু পিপল কন্টাক্ট বাড়াতে এ রুটে বাস সার্ভিস চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“চূড়ান্তভাবে বাস সার্ভিস চালুর আগে দুদেশের মাঝে একটি চুক্তি ও একটি প্রটোকল স্বাক্ষরিত হবে। এ মাসের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। আমরা আশা করছি, আগামী মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য সফরকালে এ চুক্তি ও প্রটোকল স্বাক্ষরিত হবে।”
এ রুটের সড়ক তেমন সুবিধার নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “শিলং-ডাউকি-তামাবিল রাস্তা উঁচু পাহাড়ের ঢালে, কোথাও পাহাড়ের শীর্ষে এবং সড়কটি আঁকা-বাঁকা দুর্গম। এ রাস্তায় চালকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এজন্য বাংলাদেশি গাড়ি চালকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
“ঢাকা-গোহাটি রুটে সড়ক অপ্রশস্ত। ১২ মিটারের বেশী দীর্ঘ বাস এ রুটে চলাচলের উপযোগী নয়। তাই ছোট বা মিনিবাস এ রুটে চলাচল করবে, এসব বাসের প্রতি ট্রিপে ২৬ থেকে ৩০ জন যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। বিআরটিসি এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।”
ঢাকা-শিলং-গোহাটি ছাড়াও কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা রুটে বাস সার্ভিস চালুর বিষয়টিও দুদেশের সরকার ইতিবাচকভাবে দেখছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
ইতিমধ্যে বাংলাদেশ-ভারত-নেপাল ও ভূটানের মধ্যে পরিবহন সংযোগ স্থাপনে চারদেশ নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে জানিয়ে কাদের বলেন, “এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরে আগামী ১৫ জুন ভূটানের থিম্পুতে চার দেশের সড়ক পরিবহনমন্ত্রীরা বসবে।”
অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এম এ এন ছিদ্দিক ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।