বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম অরুনার্থ চক্রবর্তী পরোয়ানা জারির এই আদেশ দেন।
মিলনের আইনজীবী মইনুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০০৭ সালের চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা এবং ২০০৮ সালের একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
“এ নিয়ে চাঁদপুরের আদালত সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনের বিরুদ্ধে চতুর্থবারের মত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল।"
মইনুল জানান, ২০০৮ সালের ১ জানুয়ারি চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মনোহরপুর এলাকায় দলবল নিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে স্থানীয় আওলাদ সরকার একটি মামলা করেন।
২০০৭ সালের ১ জুন আবদুল্লাহ আল মামুন নামে আরেক ব্যক্তি ‘পিস্তল ঠেকিয়ে চাঁদা দাবি ও হত্যার চেষ্টার’ অভিযোগ এনে মিলনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।
গত ১২ মার্চ গাড়ি ভাংচুর ও ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা ছিনতাই মামলায় মিলন ও তার স্ত্রী নাজমুন নাহার বেবীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে চাঁদপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. আতাউর রহমান।
আর গত ২৭ জানুয়ারি চুরি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মামলায় মিলনের বিরুদ্ধে চাঁদপুরের হাকিম শায়লা শারমিন আরেকটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মিলনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালত ও বিভিন্ন থানায় মোট ৩১টি মামলা রয়েছে। ২০১০ সালের ১৪ মার্চ গ্রেপ্তার হলেও দেড়বছর কারাগারে থাকার পর ২০১১ সালের জুন মাসে তিনি কুমিল্লা কারাগার থেকে মুক্তি পান।