বিনাটিকেটে ঢুকতে বাধা: সিলেটে তিনজনকে কোপাল ‘ছাত্রলীগ’

সিলেটে এক অনুষ্ঠানে এক ছাত্রলীগকর্মীকে টিকেট ছাড়া ঢুকতে বাধা দেওয়ায় সরকারসমর্থক এই ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের দুই দফা হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন।

সিলেট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2015, 05:00 AM
Updated : 22 May 2015, 05:05 AM

বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর রিকাবীবাজারের কবি নজরুল অডিটোরিয়াম এলাকায় প্রথম দফা হামলায় বেসরকারি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ছাত্র লোকমান হোসেন নকিব (২৩) ও বিবিএ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ সায়মন মিয়াকে (২২) ছুরি মেরে আহত করা হয়েছে।

কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়ে সিলেট সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তকে কুপিয়ে, পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

তাদের তিনজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে কোতোয়ালি পুলিশের সহকারী কমিশনার সাজ্জাদুল হাসান জানান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রজত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির সাংস্কৃতিক সংগঠন ফ্লেইমস-এর কনসার্ট চলাকালে ছাত্রলীগ কর্মী পারভেজ ও তার সহযোগীরা টিকেট ছাড়া হলে ঢুকতে চায়।

“আয়োজকরা বাধা দিলে কিছুক্ষণ পর পারভেজের নেতৃত্বে প্রায় ২০/২৫ জন সশস্ত্র ছাত্রলীগ কর্মী এসে হলের বাইরে থাকা ফ্লেইমস কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।”

এ সময় লোকমান ও সায়মন ছুরিকাহত হন।

কনসার্ট শেষে একই মিলনায়তনে সিলেটের জালালাবাদ এসোসিয়েসনের শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন সংগঠনের কর্মীরা। শুক্রবার বিকালে শিক্ষাবৃত্তির ওই অনুষ্ঠান হওয়ার কথা, যার সঞ্চালনার দায়িত্ব ছিল রজতের ওপর।

প্রস্তুতির কাজ দেখতে রজতসহ সংগঠনের কয়েকজন রাতে মিলনায়তনে যান। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মীরা আবারও সেখানে হামলা চালায় এবং রজতসহ কয়েকজন সংস্কৃতিকর্মীকে মারধর করে।

আহত রজত বলেন, “হলের ভেতর ঢুকেই ছাত্রলীগকর্মী পারভেজ ও প্রদ্যুৎসহ কয়েকজন আমাদের উপর চড়াও হয়। কিছু বোঝার আগেই তারা আমাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।”

পুলিশের সহকারী কমিশনার সাজ্জাদুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতে হামলায় তিনজন আহত হয়েছে। তবে এতে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততা আছে কি না সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত তরফদার দাবি করেন, দুটি হামলার কোনোটিতেই ছাত্রলীগ জড়িত নয়।

“হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম চালিয়েছে। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আটক করার জন্য আমরা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”