ছাত্রলীগের দখলের পর জগন্নাথের চলচ্চিত্র সংসদ সিলগালা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী চলচ্চিত্র সংসদের কার্যালয়ে ঢুকে কর্মীদের বের করে লুটপাটের পরদিন অফিসটি সিলগালা করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2015, 07:24 PM
Updated : 21 May 2015, 07:24 PM

চলচ্চিত্র সংসদের কর্মীরা আগের দিনের ওই ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার উপাচার্যের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি এ ব্যবস্থা নেয়।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তালা মারা ও লুটপাটের ঘটনায় অফিসটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। সময় না পাওয়ার কারণে এ বিষয়ে আমরা আজ কোনো আলোচনা করতে পারিনি। রোববার চলচ্চিত্র সংসদের কর্মীদের সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করব।”

কার্যালয়ে লুটপাট ও তালা মারার ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দিতে চলচ্চিত্র সংসদের মেন্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জুনায়েদ আহমেদ হালিমকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ‍বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জুনায়েদ আহমেদ হালিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী এবং আত্মনিবেদনসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাই এ সংগঠনের সাথে যুক্ত। অথচ ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় অসভ্য, অসংস্কৃত, বেহাজ ছেলেপেলে এ সংগঠনের কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে।”

বুধবারের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তারা চলচ্চিত্র সংসদের ভেতরে রাখা ক্যামেরা, চাঁদার টাকা লুট করে নেয়। এ ধরনের বেয়াদবীকে কোনো রকম প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ছাত্রলীগের এ সমস্ত নেতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

ছাত্রলীগের ওই নেতারা চলচ্চিত্র সংসদ থেকে লুট করা উপকরণ ও টাকা ফেরত না দিলে তাদের বিরুদ্ধে চুরির মামলাসহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান তিনি।

চলচ্চিত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ বিশ্বাস বলেন, বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নূর মোস্তফা রাহুলসহ কয়েকজন তাদের কার্যালয়ে ঢুকে কর্মীদের বের করে দেয়।

এ সময় রফিকুল ও রাহুল নিজেদের চলচ্চিত্র সংসদের সভাপতি ও  সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন।

পাশাপাশি চলচ্চিত্র সংসদের নাম পাল্টে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার ও চলচ্চিত্র সংসদ’ দিয়ে ২৩ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন তারা।

“পরে তারা চলচ্চিত্র সংসদের আলমারির তালা ভেঙে চলচ্চিত্র সংসদের ফান্ডের টাকাসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, ক্যামেরা, বিগত সকল প্রোগ্রামের ফাইল লুট করে নিয়ে কক্ষে তালা মেরে দেয়।”

ছাত্রলীগের এই নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শরীফুল ইসলামের অনুসারী বলে পরিচিত।

এ বিষয়ে বক্তব্যের জন্য ছাত্রলীগ নেতা রফিকুলের মোবাইলে কল করে তা বন্ধ পাওয়া যায়।