দারিদ্র্যমুক্তিতে নারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

দারিদ্র্যমুক্ত পৃথিবী গড়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে নারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

চট্টগ্রাম ব্যুরোবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2015, 02:41 PM
Updated : 21 May 2015, 02:41 PM

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীতে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের তৃতীয় সমাবর্তনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “একুশ শতকে দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়া অন্য সব কিছুর চাইতে বড় চ্যালেঞ্জ। আর সে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে একটি নতুন বিশ্ব গড়ে তুলতে দায়িত্ব নিতে হবে আজকের শিক্ষার্থীদের, বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের।”

সৃজনশীলতা নারীর সহজাত প্রবৃত্তি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পুরুষের চেয়ে নারীর ভূমিকা বেশি।

নারীকে অর্থনীতির চালিকা শক্তি অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তৈরী পোশাক খাতে ৪০ লাখ নারী শ্রমিক কাজ করছে। কৃষি, শিক্ষা, তথ্য-প্রযুক্তি সবখানেই রয়েছে নারীর সরব উপস্থিতি।

সমাবর্তনে প্রধান বক্তা ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা স্টিফেন্স ব্লুম বার্নিকাট বলেন, নারীর অধিকার সুনিশ্চিত করার উপরই কেবল বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, শান্তি ও সমৃদ্ধি নির্ভর করে।

“গবেষণায় দেখা গেছে কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় নারীর অগ্রগতি বৃহত্তর অর্থনৈতিক উন্নতি ও শক্তিশালী সমাজ বিনির্মাণ করতে পারে। লৈঙ্গিক সমতা এবং নারী ও শিশু অধিকার উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের পাশে রয়েছে।”

সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য শেরি ব্লেয়ার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “পৃথিবী যে পরিবর্তনের অপেক্ষায় আছে সেটা তোমরা ঘটাতে পারবে তোমাদের অর্জিত শিক্ষা দিয়ে।  

“অসীম সম্ভাবনাময়ী নারী হিসেবেই তোমরা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়েছ আর সেই সম্ভাবনার বিকাশ ঘটিয়ে বিশ্বযাত্রায় তোমরা আজ যোগ্য হয়ে উঠেছ।”

সমাবর্তনে উপাচার্য ফাহিমা আজিজও বক্তব্য রাখেন।

এশিয়ান ইউনিভাসিটি ফর উইমেন থেকে এ বছর ১১৫ শিক্ষার্থী তাদের পাঁচ বছরের শিক্ষা জীবন শেষ করল।

‘সবাইকে দেশপ্রেমিক হতে হবে’

বাংলাদেশের সবাই রাজনীতিবিদ হতে না চাইলেও সবার দেশপ্রেমিক হওয়ার উপর জোর দিয়েছেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, “দেশ নিয়ে যতই কল্যাণমুলক চিন্তা থাকুক না কেন, রাজনীতি ছাড়া সেটা বাস্তবায়নের কোনো সুযোগ নেই।

“আজকের সমাবর্তনের গ্র্যাজুয়েটদের আহ্বান করব, রাজনীতি থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেবেন না। সবাই আবার রাজনীতিবিদও হবে না, সাংসদও হবে না। তবে প্রত্যেককে দেশপ্রেমিক হতে হবে।”

শিক্ষাজীবন শেষ করা গ্র্যাজুয়েটদের ‘আগামীর সৈনিক’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “জাতির ক্রান্তিকালে সাড়া দিয়ে একাত্তরে যুদ্ধ করেছি। তারপর যুদ্ধ করেছি একটা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার। এখন যুদ্ধ চলছে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার।”

নিজের রাজনৈতিক জীবনের নানা উত্থান-পতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, যেমন পরিস্থিতি হোক কখনো হাল ছেড়ে দিইনি। এখনো জীবন থেকে শিক্ষা নিচ্ছি।