বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার গোপালদী পৌরসভার ছোট মোল্লারচরে এই ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ নুরুন্নাহারকে (২৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সুমন (২৭) নামের ওই ‘বখাটের’ মা, স্ত্রী ও বোনকে আটক করেছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
আহত গৃহবধূ ও সাইজিং মিলের শ্রমিক নুরুন্নাহার জানান, তার স্বামী মালয়েশিয়া যাওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী আকাব্বর মিয়ার ছেলে ‘বখাটে’ সুমন তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সুযোগ পেলে কুপ্রস্তাব দিত।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তার ঘরে ঢুকে সুমন আবার কুপ্রস্তাব দেয়।
তিনি রাজী না হওয়ায় সুমন বোতল থেকে কেরোসিন ঢেলে তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।
নুরুন্নাহারের সারা শরীরে আগুন ধরে গেলে তার আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আগুন নেভায় বলে জানান নুরুন্নাহার।
দুপুরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।
আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডাক্তার নাদিয়া জানান, আগুনে নুরুন্নাহারের দেহের ৫০ ভাগ পুড়ে গেছে এবং তার অবস্থা সংকটজনক বিধায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।
আগুনে নুরুন্নাহারের মাথা, মুখমণ্ডল, গলা, বুক, পিঠ, কোমরসহ শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
আড়াইহাজার থানার ওসি মো. আলমগীর জানান, ঘটনার পর সুমন পালিয়ে গেছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুমনের মা আছমা, স্ত্রী শাহনাজ ও বোন নার্গিসকে আটক করা হয়েছে।
সুমনকে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
নুরুন্নাহারের চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে।