‘আল কায়েদা-আনসারুল্লাহ বাংলাটিম:১৩’ এর নামে পাঠানো ওই চিঠিতে ১০ জনের নামের একটি তালিকা রয়েছে, যার সবার উপরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নাম রয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, কাবেরী গায়েন, জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অসীম সরকার ও তারানা হালিমের নামও রয়েছে সেখানে।
ডাকযোগে পাঠানো ওই চিঠি বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পেয়েছেন বলে জানান উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক।
“সেখানে আমাদেরকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে।”
এর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “কারা এ ধরনের কাজ করছে, তাদের সঙ্গে কারা জড়িত তাদের দেশের গোয়েন্দা সংস্থার মাধমে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির বিধান করা উচিত।”
বিষয়টি নিয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর আমজাদ আলী জানিয়েছেন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককে চিঠির মাধ্যমে হুমিক দেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষকরা আমাকে জানিয়েছেন। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শাহবাগ থানায় মামলা করা হয়েছে।”
তালিকায় এক নম্বরে উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নামের পাশে লেখা রয়েছে ‘এন্টি ইসলাম.এডভাইজার’। দুই নম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের নামের পাশে লেখা ‘আই. দুশমুন.ভিসি’।
এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে তারানা হালিম (নাস্তিক), জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অসীম সরকার (হিন্দু মৌলবাদ), ইমরান এইচ সরকার (ব্লগার), কাবেরী গায়েন (আই.এনিমি.ডিইউ), বিকাশ সাহা (আই.দুশমুন), ইকবালুর রহিম (আই. দুশমুন), পলান সুতার (এন্টিবাংলাদেশ.র.এডভাইজার) ও মুহম্মদ জাফর ইকবালের (সেক্যুলার) নাম।
এ বিষয়ে অসীম সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি শঙ্কায় আছি। দুপুরের দিকে ডাকের মাধ্যমে একটি চিঠি আসে, সেখানে দশজনের একটি তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকায় আমার নাম চার নম্বরে দেওয়া হয়। আমাকে হিন্দু মৌলবাদী আখ্যায়িত করে লাল কালিতে চিহ্নিত করে হত্যার হুমকি দিয়েছে।”