পুলিশের পিটুনিতে আহত অন্তত দশজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারের কার্যালয়ের দিকে যাত্রা করেন। পথে একাধিক স্থানে বাধা পেলেও দুপুর পৌন ১টার দিকে তারা মিন্টো রোডে ডিএমপি কমিশনারের কার্যালয়ের কাছে পৌঁছান।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, মিন্টো রোডের মোড়ে মিছিলকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড পার হওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়।
এ সময় পুলিশ মিছিলকারীদের লাঠিপেটা শুরু করলে আন্দোলনকারীরা ঢিল ছুড়ে জবাব দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ টিয়ার শেল ও জলকামান ব্যবহার করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এতে তিনি নিজে এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম জিলানী শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি লিটন নন্দী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি তন্বয় ধর, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সুমন সেন গুপ্তসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তারিক।
এদিকে মিছিলকারীদের ঢিলে ছয়জন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন রমনা থানার ওসি মসিউর রহমান। এরা হলেন- এসআই কামরুল, নায়েক জাহিদ, শাহীন, কাজী আরিফ, আলী হোসেন, আরাফাত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের উপ কমিশনার আব্দুল বাতেন বলেন, “শিক্ষার্থীরা অবরোধ করে যানজট সৃষ্টি করেছিল। তাদের পুলিশ তাদের সরে যেতে বলে এবং দাবি-দাওয়া থাকলে তাদের কয়েকজন প্রতিনিধি পাঠাতে অনুরোধ করে। কিন্তু তা না সরায় পুলিশ টিয়ার শেল ও ওয়াটার ক্যানন ব্যবহার করে তাদের সরিয়ে দেয়। কোনো হামলা হয়নি।”
ওই ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় গত বৃহস্পতিবার মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ কার্যালয় ঘেরায়ের এই কর্মসূচি দেয় ছাত্র ইউনিয়ন।
ঘটনার পর থেকেই দোষীদের গ্রেপ্তার ও জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করাতে প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি দাবি জানিয়ে আসছে ছাত্র ইউনিয়ন ও নারী অধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।