থাইল্যান্ডের জঙ্গল থেকে ১১৭ জনকে উদ্ধার

মানব পাচারের শিকার হয়ে থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের জঙ্গলে থাকা শতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশি বলে দেশটির কর্মকর্তাদের দাবি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2015, 08:31 AM
Updated : 9 May 2015, 08:35 AM

মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী ওই জঙ্গলে গত সপ্তাহে ৩৩ জনের কবর পাওয়ার পর মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের নির্দেশ দেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচা।

ওই অভিযানেই শংখলা প্রদেশের রাত্তাফুম জেলা থেকে ১১৭ জনকে উদ্ধার করা হয় বলে প্রাদেশিক ডেপুটি গভর্নর একারাত সিসেনকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে। 

তিনি বলেন, “১১৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা, বাকিরা বাংলাদেশ থেকে আসা।”

বাংলাদেশের কক্সবাজার থেকে সাগর পথে মালয়েশিয়ার মানব পাচারের বেশ কয়েকটি ঘটনা ধরা পড়েছে এর আগে। বলা হচ্ছে, এদেরও সেভাবে পাচার করা হচ্ছিল।

পাচারের শিকারদের মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী থাইল্যান্ডের ওই জঙ্গলে রাখা হত। যাদের মধ্যে নির্যাতনে অনেকের মৃত্যু ঘটে।

১১৭ জনের বিষয়ে ডেপুটি গভর্নর বলেন, “এরা আসলে পাচারের শিকার, না কি নিজেরাই এসেছে, তা যাচাই করে দেখছি আমরা।”

যাচাই করে যদি তারা মানব পাচারের শিকার বলে প্রমাণ মেলে, তবে তাদের দেশের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হেফাজতে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

একারাত সিসেন সেই সঙ্গে বলেন, তবে এই ব্যক্তিদের কেউ যদি নিজ উদ্যোগে এসেছেন বলে প্রমাণ মেলে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে।

উদ্ধার ১১৭ জনকে রাত্তাফুম জেলায় যেখানে রাখা হয়েছে, সেখানে ঘুরে এসে রয়টার্সের এক সাংবাদিক বলেন, ওদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। সেখানে তাদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।

নিজেকে বাংলাদেশি হিসেবে দাবি করে বুসরি সালাম নামে ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর রয়টার্সকে বলেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি নৌকায় উঠেছিলেন তারাসহ অনেকে। দুই সপ্তাহ ধরে তারা থাইল্যান্ডের জঙ্গলে ছিলেন।   

“আমার ভাই মালয়েশিয়ায় থাকে, আমি সেখানে যেতে চাই,” বলে এই কিশোর।  

থাইল্যান্ডের ওই জঙ্গল থেকে এর আগে এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের পর তিনি নিজেকে বাংলাদেশি দাবি করেছিলেন।

বাংলাদেশ সরকার তার নাগরিকত্ব যাচাইয়ের চেষ্টা করছে। মানব পাচারের বিষয়টি থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাস নজরে রাখছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।