বুধবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বিভাগ চতুর্থ দিনের শুনানি নিয়ে এই দিন রেখেছে।
বেঞ্চের অন্য তিন সদস্য হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
গত ১৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ আপিলের ওপর শুনানির জন্য ২৮ এপ্রিল দিন ধার্য করে। তবে ওই দিন সিটি করপোরেশন নিবাচন উপলক্ষে সাধারণ ছুটি থাকায় শুনানি হয়নি।
প্রায় ২১ মাস পর ২৯ এপ্রিল আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর ৪, ৫ ও ৬ মে শুনানি গ্রহণ করে আদালত।
আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম শাজাহান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
বুধবার শুনানিতে আসামি পক্ষ পেপারবুক থেকে মামলার তদন্ত কমকর্তার বক্তব্য, আসামিপক্ষের এক সাক্ষীর বক্তব্য ও ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে অভিযোগের অংশবিশেষ পড়ে শোনান।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যা এবং সাম্প্রদায়িক হত্যা-নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে সে বছর ১১ অগাস্ট আপিল করেন মুজাহিদ। রাষ্ট্রপক্ষ আপিল না করলেও শুনানিতে অংশ নিয়ে দণ্ড বহাল রাখতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করবে বলে জানিয়েছে।
দুটি ট্রাইব্যুনালে গত পাঁচ বছরে ১৭টি মামলায় রায় হয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মামলার ক্ষেত্রে আপিল হয়েছে।
এর মধ্যে তিনটি মামলায় আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায় এসেছে; দণ্ড কার্যকর হয়েছে জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের।