নিজেকে ‘ক্লিয়ার’ করুন: ইউনূসকে মুস্তফা কামাল

পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন আটকাতে যে অভিযোগ উঠেছে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে, তা খণ্ডনের জন্য তাকেই আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জাফর আহমেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 May 2015, 02:42 PM
Updated : 6 May 2015, 02:47 PM

“যেহেতু তাকে নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, উনি (ইউনূস) নিজেকে ক্লিয়ার করেন না কেন? দীর্ঘ দিন ধরে এ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে, কেন তিনি সামনে এগিয়ে আসছেন না? তার অবস্থান পরিষ্কার করছেন না?” বলেছেন মন্ত্রী।

এ নিয়ে মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন মুস্তফা কামাল।

বাংলাদেশের বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্ব ব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার কথা থাকলেও তারা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুললে তার তদন্ত নিয়ে সরকারের সঙ্গে মতভেদ দেখা দেয়। পরে বিশ্ব ব্যাংককে বাদ দিয়েই পদ্মা সেতু নির্মাণে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।

এর আগেই গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে সরানোর পর ইউনূসের সঙ্গেও শেখ হাসিনার সরকারের দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছিল। এরপর আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, বিশ্ব ব্যাংককে পদ্মা প্রকল্প থেকে সরাতে ইউনূস ভূমিকা রেখেছিলেন।

মঙ্গলবার একনেক বৈঠকে শেখ হাসিনা ‘পদ্মা সেতু বন্ধ করার জন্য ড. ইউনূস হিলারি ক্লিনটনকে দিয়ে বিশ্ব ব্যাংককে ফোন করিয়েছিলেন’ বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশ হয়েছে।

একদিন পর মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য নিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পরিকল্পনামন্ত্রী আসার পর সাংবাদিকরা এনিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন। 

মুস্তফা কামাল প্রথমেই বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।”

এরপর তিনি এই বিতর্কের অবসান ঘটাতে নোবেলজয়ী একমাত্র বাংলাদেশির প্রতি আহ্বান জানান।

মুস্তফা কামাল আরও বলেন, “আমি ইউনূস সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলছি না। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে, তা স্পষ্ট করতে আমি অনুরোধ করছি।”

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করার মতো শক্তি বা সামর্থ্য ইউনূসের রয়েছে কি না- প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “উনি এরকম কেউ না হলে নোবেল পেলেন কীভাবে?”

“উনি স্বনামধন্য মানুষ, স্বমহিমায় উজ্জল, তিনি বাংলাদেশের সন্তান। পদ্মা সেতু হলে উনার ক্ষতি কী ছিল,” এই প্রশ্নও করেন মন্ত্রী।

পদ্মা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, “দুর্নীতি হয়েছে বলে অনেক শুনেছি। কিন্তু তা কেউ বের করতে পারেনি।”

পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে অভিযোগে অনুসন্ধান চালিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পায়নি বলে জানায়। তবে এর সমালোচনা করে বিএনপি বলে আসছে, সরকারের ‘আজ্ঞাবহ’ দুদক ‘দুর্নীতিবাজদের’ রেহাই দিয়েছে।