এছাড়া প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
বুধবার অতিরিক্ত জেলা জজ আবদুল মান্নান এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পশ্চিম রাজৈর গ্রামের মো. সেলিম মিয়ার মেয়ে মুক্তা আক্তার (২৮) এবং ভোলার লালমোহনের মহেশখালী গ্রামের হানিফ মুন্সীর ছেলে সবুজ মুন্সি (৩৩)।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এমরান লতিফ জানান, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় থেকে মুক্তা ও সবুজের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরপর ২০১১ সালের ২৩ ডিসেম্বর রাতে টেকেরহাট সেতুর উপর থেকে মুক্তা আক্তার তার আড়াই বছরের মেয়ে তাজমীনকে কুমার নদীতে ফেলে দিয়ে সবুজের সঙ্গে পালিয়ে যান।
পরদিন লাশ পাওয়ার পর তখনকার রাজৈর থানার ওসি এমদাদুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এর একদিন পর পুলিশ মুক্তা ও সবুজকে ভোলা থেকে গ্রেপ্তার করে।
পরে দুজনই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
জামিন নিয়ে মুক্ত হওয়ার পর থেকে দুই আসামি পলাতক রয়েছেন বলে জানান অ্যাডভোকেট এমরান।