মঙ্গলবার বিকালে এ ঘটনায় তারা ভয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলে অভিভাবকরা জানান।
এরা হলো হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার সুমি (১৩), উম্মে মাবিয়া বিন্দু (১৩), কনক জাহান মিলি (১৩) ও সাবিহা সুলতানা আঁখি।
উদ্ধারের পর তাদের জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুল হাফিজ জানান, হাসাদাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ওই চার ছাত্রী মঙ্গলবার ছুটির পর তাদের ইংরেজি শিক্ষক লুৎফর রহমানের কাছে প্রাইভেট পড়ে একটি কক্ষে।
প্রাইভেট পড়া শেষে লুৎফর রহমান ছাত্রীদের ওই কক্ষের ভেতর রেখে দরজায় তালা লাগিয়ে বাড়ি চলে যান।
ওই সময় তিনি ছাত্রীদের পড়া শেষে পিছনের গেট দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন।
কিন্তু পড়া শেষে ছাত্রীরা বের হতে গিয়ে দেখে পিছনের গেটে দারোয়ান আগেই তালা দিয়ে চলে গেছে।
ইউএনও নূরুল হাফিজ জানান, দীর্ঘক্ষণ তারা স্কুলের ভেতরে আটকা পড়ে থাকে। বের হতে না পেরে আতঙ্কিত হয়ে একে একে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এদিকে মেয়েরা বাড়ি না ফেরায় অভিভাবকরা খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে জীবননগর হাসপাতালে নিয়ে যান।
সুস্থ হওয়ার পর রাতেই তাদের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান ইউএনও।
ইউএনও আরও বলেন, বুধবার দুপুরে তিনি সরেজমিনে ওই স্কুলে যান এবং ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।