এর ফলে তুরাগে সীমানা খুঁটি আগের মতোই থাকবে বলে জানিয়েছেন এ মামলার এক আইনজীবী।
হাই কোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশের বিরুদ্ধে করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) নিষ্পত্তি করে বুধবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে গঠিত চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
নদীর দখল-দূষণ রোধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের করা এক রিট আবেদন শুনে ২০০৯ সালের ২৫ জুন হাই কোর্ট বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদী রক্ষায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়।
এতে নদীতীরবর্তী অবৈধ স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করতে বলা হয়। ভূমি জরিপ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়কে সমন্বিতভাবে ক্যাডেস্ট্রাল সার্ভে বা সিএস রেকর্ড অনুসারে নদীগুলোর সীমানা নির্ধারণ করে খুঁটি স্থাপন করতে বলা হয়।
তবে তুরাগ নদের কয়েকটি স্থানে সঠিক জায়গায় সীমানা খুঁটি স্থাপন না হওয়ায় রিট আবেদনকারীপক্ষের একটি আবেদনে গত বছরের ২৪ জুলাই হাই কোর্ট ১৪ দিনের মধ্যে ভরা মৌসুমে তুরাগ নদীতে খুঁটি স্থাপনের নির্দেশ দেয়।
এরপর আমিন অ্যান্ড মোমিন নামে একটি কোম্পানির দখলে থাকা প্রায় নয় একর জমি মুক্ত করে খুঁটি স্থাপন করা হলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে ইয়ানুর বেগম ওই জমি উদ্ধার ও খুঁটি অপসারণের জন্য হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাই কোর্ট স্থিতাবস্থার আদেশ দেয়।
ওই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন নিয়ে যায় রিট আবেদনকারী।
৩ মার্চ চেম্বার বিচারপতি হাই কোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিত করে বিষয়টি নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
আপিল বিভাগ এর শুনানি করে বুধবার আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেয়।
আদেশের পর আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, “হাই কোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছে। এখন তুরাগ নদের সীমানায় খুঁটি বসানো আছে এবং তা থাকবে।”