মঙ্গলবার রাতে মিস্ত্রিপাড়া বুড়ির ভিটা এলাকায় নিহত আল মামুন (৩৮) নগরীর খালিশপুর থানার নয়বাটির আব্দুল জলিলের ছেলে।
খুলনা সদর থানার সহকারী কমিশনার মো. জিয়া উদ্দিন আহমেদ জানান, বেলা ২টার দিকে নগরীর রায়পাড়া থেকে দুই ‘ডাকাত’ আল মামুন ও ফারুক হোসেনকে তিনটি পিস্তল, একটি রিভলবার ও ২৩ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর থানায় রেখে তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মামুন তার কাছে অস্ত্র থাকার কথা জানান।
তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে খুলনা সদর থানার একটি বিশেষ টিম তাকে নিয়ে রাত ৮টার দিকে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয়।
জিয়া উদ্দিন বলেন, অভিযানকারী দল মিস্ত্রিপাড়া বুড়ির ভিটা এলাকায় পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সহযোগীরা মামুনকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পুলিশের উপর গুলি চালায়।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে পালিয়ে যাওয়ার সময় মামুন গুলিবিদ্ধ হন।
গুলিবিদ্ধ মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিবিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানান জিয়া উদ্দিন।
ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটার গান ও দুইটি বোমা উদ্ধার করা হয় বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, বেলা ২টার দিকে অস্ত্র ও গুলি নিয়ে একটি রিকশায় করে রায়পাড়া রোড দিয়ে যাচ্ছিলেন মামুন ও ফারুক।
এ সময় পুলিশ তাদের আটক করে সঙ্গে থাকা দুইটি স্কুল ব্যাগ তল্লাশি করে তিনটি এমএম পিস্তল, একটি রিভলবার, ২৩ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ও ৪টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে।
মামুন ও ফারুক ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বলেন তিনি।