ছাত্রলীগ নেতার মুক্তি দাবিতে ধর্মঘট চলছে কুবিতে

এক ছাত্রলীগ নেতার মুক্তির দাবিতে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে সংগঠনটি।

মো. আরিফুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2015, 02:12 PM
Updated : 5 May 2015, 02:12 PM

মঙ্গলবার ছিল ‘ইলিয়াছ মুক্তি পরিষদ’র ডাকা ধর্মঘটের দশম দিন।

সকালে সংগঠনটি ক্যাম্পাসে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে।

সোমবার থেকে ক্লাস চলার কথা থাকলেও ক্লাস কিংবা পরীক্ষা কিছুই হয়নি।

এদিকে বিষয়টি আলোচনার জন্য মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের আইনশৃংখলা বিষয়ক এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার সভার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক হাসানুজ্জামান কল্লোল, পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী, সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ, থানার ওসি প্রশান্ত কুমার পাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক কুন্ডুগৌপি দাস, রেজিস্ট্রার মুজিবুর রহমান মজুমদার, প্রক্টর আইনুল হক, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

গত ২৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শালবন বিহারের পিকনিক স্পট থেকে একটি অস্ত্র, গুলি ও ম্যাগজিন বহন করার অভিযোগে ইলিয়াসকে আটক করে র‌্যাব-১১।

পরে তাকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় সোপর্দ করে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে মামলা করা হয়।

ওই ঘটনার পর ২৬ এপ্রিল থেকে ইলিয়াসের মুক্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্মঘট শুরু করে ছাত্রলীগ।

ইলিয়াস কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও লোক প্রশাসন বিভাগের মাস্টার্স ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

আইনশৃঙ্খলা সভায় রেজিস্ট্রার মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, ইলিয়াছ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দ্রুত মুক্তি পাবে বলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসন আশা করে।

সোমবার থেকে ক্লাস চলার ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ঐকমত্য হয় বলেও তিনি জানান।

তবে, ক্লাস-পরীক্ষা কার্যত চলছে না কেন সে ব্যাপারে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী বলেন, “আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইলিয়াসকে দ্রুত মুক্ত করার জন্য আমরা সকল প্রকার সহযোগিতা করছি। এজন্য শিক্ষার্থীরা অবশ্যই ধ্বংসাত্মক কাজ থেকে নিজেদের বিরত রাখতে হবে।”

ইলিয়াস মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য ফখরুল পারভেজ বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনকে আমাদের দাবি জানিয়েছি। দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ইলিয়াস ভাইয়ের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।”

মুক্তি পরিষদের সদস্য সচিব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সিনিয়র সদস্য মাসুদুর রহমান মাসুদ বলেন, “আমরা উপাচার্যকে ৯ দফা দাবি দিয়েছি ও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছি। এর মধ্যে আশানুরুপ ফলাফল না পেলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।”