আনন্দে মাতোয়ারা ছিটমহলবাসী

ভারতীয় মন্ত্রিসভা বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের সংবিধান সংশোধন প্রস্তাবে সায় দেওয়ায় আনন্দে মেতে উঠেছে পঞ্চগড়ে অবস্থিত ছিটমহলগুলোর বাসিন্দারা।

সাইফুল আলম বাবু পঞ্চগড় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2015, 01:21 PM
Updated : 5 May 2015, 01:21 PM

মঙ্গলবার দুপুরে খবরটি শোনার পরপরই তারা মিষ্টি বিতরণ করে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে এ খবর প্রচারের পর ছিটমহলের বাসিন্দারা আনন্দে মেতে ওঠে। একে অপরকে মিষ্টি মুখ করিয়ে ও কোলাকুলি করে আনন্দ ভাগাভাগি করে।

পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় অবস্থিত ভারতীয় পুটিমারী ছিটমহলে দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, কাজকর্ম ফেলে নানা বয়সী নারী-পুরুষ পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে ছিটমহল অফিসের সামনে জড়ো হয়।

একে অপরকে মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছে। মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী লোকজনকেও তারা মিষ্টি খাওয়ায়।

এ সময় বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলা সভাপতি মফিজার রহমান, পুটিমারী ছিটমহলের চেয়ারম্যান তছলিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মফিজার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটি দেশের নাগরিকত্বের পরিচয় পাবার অধিকার অর্জনে আমরা কয়েক যুগ ধরে অনিশ্চিত ও অমানবিক জীবনযাপন করছি। এ অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনায় সবাই আনন্দ-উল্লাসে মেতে উঠেছে।”

পঞ্চগড়ে অবস্থিত ৩৬টি ছিটমহলেই এমন আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা গেছে বলে জানান তিনি।

গারাতি ছিটমহলের বৃদ্ধ কেরামত আলী (৭০) আবেগজজড়িত কণ্ঠে বলেন, “বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে মৃত্যুবরণ করলে আমার আর কোনো দুঃখ-কষ্ট থাকবে না। অন্তত কেউ তো বলতে পারবে না ওর কোন দেশ নাই।”

শালবাড়ি ছিটমহলের নাগরিক কমিটির চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম বলেন, “আমরা যেন নতুন জীবন পাচ্ছি। দীর্ঘদিনের কষ্ট-লাঞ্ছনার বোধ হয় এবার অবসান ঘটতে যাচ্ছে।”