ডিমলা থানার ওসি রুহুল আমিন খান জানান, সোমবার রাতে উপজেলা সদরে জামায়াতের কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাতেই তাকে নীলফামারী থানায় নিরাপত্তা সেলে পাঠানো হয়।
মঙ্গলবার বিকালে আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার সাত্তার (৪৪) ডিমলা নিজপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। তার বাড়ি উপজেলার দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে।
ডিমলা থানার এসআই মো. সুফিয়ার রহমান বসুনিয়া জানান, গত বছরের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ৪ জানুয়ারি রাতে সাত্তারের নেতৃত্বে দেড়শরও বেশি দুষ্কৃতিকারী আগ্নেয়াস্ত্র, হাতবোমা ফাটিয়ে ডিমলার খালিশা চাপানী ব্যাপারীটোলা আলীম মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে আক্রমণ করে।
এতে ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাডিং ও পোলিং কর্মকর্তা আহত হন।
পরে কেন্দ্রের দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে হামলাকারীদের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর আলম (২৫) নামের এক শিবিরকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
এ ঘটনায় ৫ জানুয়ারি রাতেই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম অজ্ঞাত পরিচয় দেড়শতাধিক লোককে আসামি করে একটি মামলা করেন।
পরে ভোটের দিন নিজপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার ভোট কেন্দ্রে অগ্নিসংযোগ ও ব্যালট পেপার ছিনতাই এবং সহিংসতা চালানোর অভিযোগে করা আরেকটি মামলা হয়।
ওসি রুহুল আমিন খান আরও জানান, জামায়াত নেতা সাত্তার দুটি মামলারই আসামি।
এই দুই মামলার অভিযোগপত্র চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল দাখিল করা হয়েছে। মামলার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন বলে জানান ওসি।