২০০৪ সালের ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডে ওই আদালতের বিশেষ এজলাসে সাক্ষ্য দেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১২৯তম সাক্ষী সাবেক এই মন্ত্রীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন মঙ্গলবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
২০০৪ সালের ২১ অগাস্টে ওই হামলার সময় হাছান মাহমুদের গায়ে আর্জেস গ্রেনেডের ৪০টি স্প্লিন্টার বিঁধেছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বেলজিয়ামও পাঠানো হয়েছিল।
সোমবার সাক্ষ্য দেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িচালক মো. আব্দুল মতিনও। তিনি এই মামলার ১৩০তম সাক্ষী।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো এই হামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা হয়েছিল।
পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে অভিযোগপত্র দেওয়ার মধ্য দিয়ে আলোচিত এই ঘটনার বিচার শুরু হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।
এই মামলায় ছেলে তারেক রহমান, ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক ছাড়াও খালেদা জিয়ার মন্ত্রিসভার সদস্য লুৎফুজ্জামান বাবর, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, আব্দুস সালাম পিন্টু আসামি।
মোট ৫২ জন আসামির মধ্যে সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরীও রয়েছেন।
আসামিদের মধ্যে হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২৫ জন কারাগারে রয়েছেন।
তারেক ছাড়াও খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী ও বিএনপি নেতা কাজী মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ আসামি পলাতক।