স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে দুই মিনিটের এই ঝড়ে গোলনা ইউনিয়নের তালুক গোলনা গ্রামের সাড়ে তিন শ পরিবারের অন্তত দুই হাজার ঘর বিধ্বস্ত হয়।
উপড়ে গেছে সহস্রাধিক গাছপালা, নষ্ট হয়েছে দুই শতাধিক বিঘা জমির উঠতি বোরো ধান, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল।
ঘর ও গাছ চাপায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন, যাদের মধ্যে ২৫ জন জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকিরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।
গোলনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান জানান, রোববার রাত ১১টার দিকে প্রচণ্ড শব্দে ঝড় শুরু হয়। দুই মিনিটের মতো স্থায়ী ছিল ঝড়।
ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন খোলা জায়গায় রয়েছেন বলে জানান তিনি।
ওই গ্রামের বৃদ্ধ এছার উদ্দিন বলেন, “আমার জ্ঞান হওয়ার পর অনেক ঝড় দেখেছি। কিন্তু রোববার রাতের ঝড়ের মতো কোনো ঝড় দেখিনি।”
গোলনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুল আলম জানান, দুপুরে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চারশ কেজি চিড়া, চারশ কেজি মুড়ি ও একশ কেজি গুড় দিয়েছেন।
সোমবার দুপুরে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিয়াকত আলী খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ হোসেন রুবেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান হাবিব ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
চেয়ারম্যান কামরুল আলম আরও জানান, এ সময় জেলা ত্রাণ কার্যালয় থেকে পাওয়া ৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ৭৫টি কম্বল ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এ এম রফিকুন্নবীও এ সহায়তা দেওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।