নারায়ণগঞ্জে ‘সন্ত্রাসীকে’ কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা

নারায়ণগঞ্জে একাধিক মামলার এক আসামিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছে একদল লোক।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2015, 12:47 PM
Updated : 4 May 2015, 02:41 PM

সোমবার সকালে শহরের আল আমিন নগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আসাদুজ্জামান সুজন ওরফে এতিম সুজন (৩৫) শহরের নলুয়াপাড়ার মৃত রঞ্জু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ বলছে, এলাকার ক্ষুব্ধ লোকজন তাকে হত্যা করেছে। অপরদিকে সুজনের স্বজনদের দাবি, স্থানীয় এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের লোকজন তাকে হত্যা করেছে।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মঞ্জুর কাদের জানান, বেলা ১১টার দিকে আল আমিন নগর এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে ‘মহড়া’ দেওয়ার সময় এলাকার লোকজন বাধা দেয়।

এই নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ‘সন্ত্রাসী সুজনকে’ এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে।

গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

ওসি মঞ্জুর কাদের আরও জানান, সুজন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মাদকসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

এদিকে সুজনের ছোট ভাই সুমন সাংবাদিকদের জানান, সকাল ১১টার দিকে রাসেল, জাবেদ ও জাহাঙ্গীর নামের তিন যুবক সুজনকে তার কড়ই তলা এলাকার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাসা থেকে যাওয়ার সময় সুজন তার স্ত্রীকে নাস্তা তৈরি করতে বলে বের হয়ে যান।

কিছুক্ষণ পরই স্থানীয়রা জানায় সুজনকে কুপিয়ে ফেলে গেছে। উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

সুমন আরও জানান, তার ভাই সুজন আগে কাউন্সিলর মুন্নার বড় ভাই প্রয়াত সাইদুল হাছান বাপ্পির হয়ে কাজ করতেন। বাপ্পির মৃত্যুর পর তার ছোট ভাই মুন্না সুজনকে বিভিন্ন অপকর্মে ব্যবহার করতে চান। কিন্তু সুজন রাজী না হওয়ায় তার উপর কাউন্সিলর মুন্না ক্ষুব্ধ ছিলেন।

“এ কারণে মুন্না তার ক্যাডারদের দিয়ে সুজনের উপর এর আগেও হামলা করিয়েছিলেন। ঘটনার পর থেকে মুন্না তাকে মামলা না করতে চাপ দিচ্ছেন।”

ফলে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলে জানান।

এলাকাবাসী জানান, ২০০১ সালে মুন্নার বড় ভাই বাপ্পির মৃত্যু হলে সুজন রাস্তায় বুক চাপড়ে চিৎকার করে কেঁদে বলছিলেন, ‘আজ থেকে এতিম হয়ে গেলাম’। এর পর থেকে সুজন এলাকায় এতিম হিসেবে পরিচিত হন।

হামলার বিষয়ে কাউন্সিলর কামরুল হাছান মুন্নার সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।