আব্বাসের জামিন শুনানি আরও পেছাল

নাশকতার দুই মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাসের আগাম জামিনের শুনানি আরও পিছিয়ে গেছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2015, 07:49 AM
Updated : 4 May 2015, 07:49 AM

আব্বাসের আইনজীবীরা সোমবার সময়ের আবেদন করায় বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের হাই কোর্ট বেঞ্চ জামিন শুনানির জন্য ২৪ মে নতুন তারিখ রাখেন।

আব্বাসের আইনজীবী জয়নুল আবেদিন ও নিতাই রায় চৌধুরী এদিন বার কাউন্সিলের নির্বাচনের কথা বলে সময়ের আবেদন করেন। নিরাপত্তার কথা বলে এর আগেও দুই দফায় সময় নেন তারা।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশিরউল্লাহ।

পল্টন ও মতিঝিল থানার এ দুই মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে নাশকতায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। সিটি নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির ঢাকা মহানগর আহ্বায়ক মির্জা আব্বাস গত ১৩ এপ্রিল এ দুটি মামলায় আগাম জামিন চাইতে হাই কোর্টে আসেন।

তার আবেদন শুনে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের হাই কোর্ট বেঞ্চ গত ১৫ এপ্রিল বিভক্ত আদেশ দেয়। জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জামিন দিলেও কনিষ্ঠ বিচারপতি জামিন নাকচ করে আসামিকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। 

এরপর প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য নিয়ম অনুযায়ী নতুন বেঞ্চ ঠিক করে দেন। সে অনুযায়ী গত ২৭ এপ্রিল বিষয়টি বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের বেঞ্চ এলেও আব্বাসের সময়ের আবেদনে শুনানি পিছিয়ে যায়।

দুদকের করা একটি দুর্নীতি মামলাতেও আগাম জামিন চেয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস। হাই কোর্টে দুদকের মামলা শোনার জন্য নির্ধারিত বেঞ্চ থাকায় বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চ গত ১৫ এপ্রিল ওই আবেদনটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়।

আব্বাসের আইনজীবীরা পরে দুদকের মামলা শোনার নির্ধারিত বেঞ্চে আবেদন নিয়ে যান। কিন্তু তাদের দুই দফা সময়ের আবেদনে শুনানি পিছিয়ে যায়।

তিন মাস আত্মগোপনে থাকার পর ভোট সামনে রেখে জামিন চাইতে গত ১৩ ও ১৫ এপ্রিল প্রকাশ্যে এসেছিলেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়রপ্রার্থী আব্বাস। জামিন না হওয়ায় ২৮ এপ্রিল ভোটের দিনও তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।

ভোটের দিন দুপুরে কারচুপির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। ঢাকা দক্ষিণে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ খোকন।