রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
কিছু গণমাধ্যমে কামারুজ্জামানের ফাঁসির বিবরণ তুলে ধরা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইনু বলেন, “ওই গণমাধ্যমগুলো যুদ্ধাপরাধীদের প্রতি সাধারণ মানুষের দরদ তৈরি করার জন্য ফাঁসির রায় কীভাবে কার্যকর করা হয়েছে তার বিবরণ দেওয়া হয়েছে।”
রাজনৈতিক সংকট তৈরির জন্য অনেক গণমাধ্যমে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে শিরোনাম’ করা হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নেত্রীকে গণতন্ত্রের ওড়না পরিয়ে গণতন্ত্রের ঘরে প্রবেশ করালে রাজনীতির ময়দানে খাল কেটে কুমির আনা হবে। আগুন সন্ত্রাসীর গায়ে গণতন্ত্রের ওড়না মানায় না।”
আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “একদিকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলব, অপরদিকে ইতিহাস বিকৃত করব তা হয় না। সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নাম-পুঁজি দিয়ে ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক স্বার্থ আদায়ের জন্য এখন গণমাধ্যম ব্যবহার হচ্ছে। আসলে গণমাধ্যম গণমানুষের জন্য।”
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর জন্য যারা সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছেন এবং গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের কথা তুলে ধরছেন তারা সাংবাদিক নয়। সাংবাদিক হিসেবে তাদেরকে আমি স্বীকার করি না।”
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান, সাংবাদিক নেতা কুদ্দুস আফ্রাদ উপস্থিত ছিলেন।