শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রোববার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, পর্যায়ক্রমে তা অন্য শ্রেণির জন্যও করা হবে।
মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন পাঠ্যকে সহজে বোঝাতে এবং আকর্ষণীয় ও সহজলভ্য করে তুলতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
১৭ বছর পর শিক্ষাক্রমকে যুগোপযোগী করার বিষয়টি তুলে ধরে নাহিদ বলেন, এভাবেও চলবে না, নিত্যনতুন পরিবর্তনের বিষয়াদিও শিক্ষার্থীদের জানাতে হবে।
“বইকে আরও রঙিন ও আকর্ষণীয় করতে হবে। আমরা প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকের পাশাপাশি সকল ক্লাসে ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল বই চালু করার উদ্যোগ নিয়েছি।”
টিকিউআই প্রকল্প আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের অভিজ্ঞ তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের সহায়তায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের শিক্ষকদের দিয়ে ডিজিটাল বই করা হবে।
“প্রতিটি বইয়ের কঠিন শব্দ, বাক্য, বিষয় ইত্যাদি সহজে বোঝানোর জন্য শব্দার্থ, ব্যাখ্যা, অ্যানিমেশন, রঙিন ছবি ছাড়াও প্রয়োজনীয় ভিডিও যোগ করা হবে।”
এই অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণিতে সব বই ইন্টারঅ্যাকটিভ ডিজিটাল হবে।
“শিক্ষার্থীরা বিষয়গুলো নিজেরা আরও সহজভাবে বুঝতে পারবে, আগ্রহী শিক্ষার্থীরা অধিকতর জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।”
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে টিকিউআই প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বনমালী ভৌমিক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র পাল, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক হামিদুল হক বক্তব্য দেন।