রোববার সকালে এ ঘোষণার পর এই স্থলবন্দর থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু জানান, সোনামসজিদ স্থলবন্দর শ্রমিক সমন্বয় কমিটি ও এক শ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী ট্রাক চালকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় ও তাদের হয়রানি করে আসছে।
প্রায় দুই বছর ধরে তারা পণ্যবাহী প্রতিটি ট্রাক থেকে ১৬০০ থেকে ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে আসছে।
এতে ট্রাক চালকরা বাধা দিলে তাদের শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
এছাড়াও চালকদের অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পুষ্প নারায়ণ বর্মন বলেন, বন্দরে ট্রাক চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে তারা বাধ্য হয়েই রোববার সকাল থেকে পণ্য পরিবহন বর্জন করছে।
এ সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তারা বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ রাখবেন বলে জানান তিনি।
ট্রাক চালক সেলিম রেজা ও রবিউল ইসলাম জানান, বন্দর শ্রমিক সমন্বয় কমিটি ও এক শ্রেণির মধ্যস্বত্বভোগী দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে চাঁদা আদায় ও চালকদের হয়রানি করে আসছে।
এ ব্যাপারে সোনামসজিদ স্থলবন্দর শ্রমিক সমন্বয় কমিটির সভাপতি সাদেকুর রহমান জানান, বন্দরে চাঁদাবাজি ও হয়রানির বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এ ব্যাপারে তাদেরকে কেউ ইতিপূর্বে কোনো অভিযোগ করেনি।