টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ

তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হলে গভীর রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2015, 03:45 AM
Updated : 3 May 2015, 05:00 AM

নিজেদের পক্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের শহীদ আজিজ হলে ওঠানো নিয়ে শনিবার রাত দেড়টার দিকে সরকারসমর্থক এই ছাত্র সংগঠনের দুটি পক্ষ এই সংঘর্ষে জড়ায়। 

পরে রাত ৩টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাশন ডিজাইনিং বিভাগের এক শিক্ষার্থী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শহীদ আজিজ হলের আধিপত্য নিয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদত হোসেন শিশির ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব খানের সমর্থকদের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ চলে আসছে। ৪১তম ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের নিজেদের দলে টেনে শহীদ আজিজ হলে তোলা নিয়ে রাতে তাদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

দুই পক্ষের নেতাকর্মীরা রড, লাঠি, রামদাসহ বিভিন্ন অস্ত্র হাতে মুখোমুখি অবস্থান নিলে হলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ওই শিক্ষার্থী বলেন, “হলের প্রধান ফটক তালাবন্ধ ছিল। আমি কোনোভাবে বেরিয়ে আসতে পেরেছিলাম। বাইরে দাঁড়িয়ে অন্তত ১০/১২ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি।”

রাত ৩টার পরে শহীদ আজিজ হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুস সাকিব খানকে ফোন করলে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুলিশ এসেছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ গুরুতর আহত হয়নি। পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে।”

এরপর ব্যস্ততার কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন।

সভাপতি শাহাদত হোসেন শিশির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গতকাল থেকে হল কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই এটি ছাত্রলীগের কোনো ঘটনা না। হলে ছাত্র তোলা নিয়ে সাকিবের ছেলেরা আমাদের উপর হামলা করেছে।”

হল কমিটির শাখা বিলুপ্তির বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে কিছু জানা সম্ভব না হলেও ‘বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ’ নামে একটি ফেইসবুক পেইজে শনিবার রাতে একটি পোস্টে বলা হয়, “বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শহীদ আজিজ হল শাখার কমিটি অনির্দিষ্টকালের জন্যে স্থগিত ঘোষণা করা হল।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোমিনুল আলম ডালিমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি লাইন কেটে দেন।  

পরে রাত ৩টার দিকে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন বলেন, “পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। আপাতত এর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।”