ইসির ‘এসএমএস সেবায়’ ভোটারদের ভোগান্তি

মোবাইল ফোনে এসএমএস করে ও ওয়েবসাইট থেকে ভোটকেন্দ্র ও ভোটার নম্বর জেনে সিটি নির্বাচনে ভোট দিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন ভোটাররা। সমাধান না পেয়ে ভোট না দিয়েই ফিরেছেন কেউ কেউ।

শহীদুল ইসলামবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2015, 05:17 PM
Updated : 28 April 2015, 07:49 PM

মঙ্গলবার সকালে ভোট শুরুর পর ঢাকার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের কাছে নির্বাচন কমিশনের ‘ডিজিটাল-সেবা’ নিয়ে এই অভিযোগ পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ-কোরিয়া টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার কেন্দ্রে দেড় ঘণ্টা অপেক্ষো করে ভোট না দিয়েই ফিরে যান মো. ছাদেক।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মোবাইলে এসএমএস করে ভোটার নম্বর ও ভোটের তথ্য জেনেছিলাম। এসএমএসে জানানো হয়েছিল ভোটার নম্বর ৩৩১৩। কিন্তু কেন্দ্রে এসে দেখি এই ভোটার নম্বরে আছে মোমেন আলীর নাম।

গাবতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে রমেজা বেগম বলেন, “আমার ছেলে ইন্টারনেট থেকে ভোটের তথ্য বের করে কাগজে লিখে দিয়েছিল। কিন্তু ভোটকেন্দ্রে এসে আমার নামই খুঁজে পেলাম না।”

ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভোটাররা যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস পাঠিয়ে ভোটকেন্দ্র ও ভোটার নম্বর জানতে পেরেছেন এবার।

এছাড়া নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট www.ec.org.bd অথবা www.nidw.gov.bd থেকেও কেন্দ্র ও ভোটার নম্বর জানার ‍সুযোগ দিয়েছে ইসি।

তানজিয়া রিংকি নামের একজন ভোটার অভিযোগ করেন, মোবাইল থেকে কয়েকবার এসএমএস করেও ভোটের তথ্য পাননি তিনি। অথচ এসএমএসের ‘চার্জ’ ঠিকই কেটে নেওয়া হয়েছে।

সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, এসএমএসে ১ লাখ ৪৭ হাজার ভোটার এবং ওয়েবসাইট থেকে ৩৫ হাজার মানুষ এই সেবা নিয়েছেন। এছাড়া ৩ হাজার নতুন ভোটার এসএমএসে ভোটার তথ্য জেনেছেন।

অবশ্য ২৫ এপ্রিল ইসি এই সেবা চালু করার পর থেকেই কমিশনে অভিযোগ আসতে শুরু করে বলে ইসি কর্মকর্তারা জানান।

শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে কয়েকজন নারী ভোটার ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে কেন্দ্রে থাকা তথ্যের গড়মিল দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এদের একজন নাজনীন আক্তার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইন্টারনেট থেকে যে তথ্য পেয়েছিলাম কেন্দ্রে থাকা তথ্যের সঙ্গে তা মিলছে না। তাহলে ইন্টারনেট থেকে তথ্য নিয়ে কী লাভ হল?”