পুলিশ নিয়ে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আদাবর শেখেরটেকের একটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মদদে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন এই দলের বিদ্রোহী প্রার্থী। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2015, 01:57 PM
Updated : 28 April 2015, 01:57 PM

এই নিয়ে শেখেরটেক ৫ নম্বর সড়কে ম্যাক জিনিয়াস স্কুল কেন্দ্রে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা শোরগোল তুললে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলিও ছোড়ে।

ঢাকা দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মতো মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা উত্তরেও ভোটগ্রহণ চলে। 

৩০ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয় আরিফুর রহমান তুহিনকে। ওই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম হাসু দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হন।

হাসেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তুহিন ২৫/৩০ জনকে নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে ম্যাক জিনিয়াস স্কুল কেন্দ্রে ঢোকে। এসময় আদাবর থানার ওসি গাজি রুহুল ইমামও ছিল।

“পুলিশের সামনেই তুহিনের লোকজন সিল মারার সময় আমার পোলিং এজেন্ট বাধা দিলে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় বাইরে লোকজন জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে পুলিশ গুলি করে।”

ভোট জালিয়াতির অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেন্দ্রের বাইরে হাসুর লোকজন পুলিশকে লক্ষ করে ইট মারলে আমি কয়েক রাউন্ড গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।”

এ বিষয়ে কথা বলতে তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

এদিকে রাজধানীর মানিকনগর মডেল হাইস্কুল ভোটকেন্দ্রের সামনে থেকে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম কালু চন্দ্র শীল(৩৮)।

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সেন্টু দাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেলা ১১টার দিকে পেটে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।”

কালু মুগদা মানিকনগরের ৩০ নম্বর বাড়িতে কাজ করেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা সেন্টু দাস। কীভাবে তিনি গুলিবিদ্ধ হলেন, সে বিষয়ে পুলিশ কিছু জানাতে পারেনি।