বেনাপোল বন্দর থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, সোমবার বিকালে আজগর আলী (৩৬) নামের ওই ব্যক্তি মারা যান।
গত শুক্রবার ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আব্দুল্লাহ (৪৮) ও সামছুর রহমান বুদো।
এখনও আহত রয়েছেন সুমন (২৩), আব্দুল্লাহ (৩৫) ও হাফিজুর রহমান (৩৫)।
এ নিয়ে ওই হামলায় মোট তিন জনের মৃত্যু হলো।
মৃত আজগরের স্বজনরা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আহত আজগর ও সুমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তারা জানান, সেখানে তিন দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার চিকিৎসকরা আজগরকে ‘ক্লিনিক্যালি ডেড’ ঘোষণা করেন। ওইদিনই বাড়ি ফেরত আনার পথে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে যশোরের খাজুরা এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
ওসি অপূর্ব জানান, যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই আজগরের লাশ গ্রামে নিয়ে আসা হয় এবং পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার রাতে ঝড়ে রঘুনাথপুর-সাদিপুর সড়কের পাশে লাগানো কয়েকটি বাবলা গাছ উপড়ে পড়ে। সকালে সেগুলো কাটতে যান তিন ভাই নাশু, আলাউদ্দিন, ফুলছোদ্দিনসহ তাদের সঙ্গীরা।
ওই সময় সরকারি গাছ কাটতে বাধা দেওয়ায় সহযোগীসহ ওই তিনভাই মিলে বাধাদানকারীদের কুড়াল ও দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করে।
ওইদিনই দুজনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরদিন নিহত আব্দুল্লার ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে বন্দর থানায় একটি মামলা করেন।