এক নজরে তিন সিটি নির্বাচন

তিন সিটি করপোরেশনে মেয়র ও কাউন্সিলর বেছে নিতে মঙ্গলবার ভোট দেবে নগরবাসীরা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2015, 05:31 PM
Updated : 27 April 2015, 07:03 PM

ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

রাজধানী ঢাকা আগে একক সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০২ সালে।

২০১১ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষিণে ভাগের পর এটাই প্রথম নির্বাচন।

দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামে এটি পঞ্চম নির্বাচন। এই সিটিতে সর্বশেষ ভোট হয়েছিল ২০১০ সালের ১৭ জুন।

প্রার্থী

# ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ১৬ জন, ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৮১ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৮৯ প্রার্থী রয়েছেন।

# দক্ষিণে মেয়র পদে ২০ জন, ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৩৯০ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৯৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

# চট্টগ্রামে মেয়র পদে ১২ জন, ৪১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২১৭ জন ও ১৪টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন।

ভোটার

# ঢাকা উত্তরে ২৩ লাখ ৪৫ হাজার ৩৭৪ মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১২ লাখ ২৪ হাজার ৭০১ ও নারী ১১ লাখ ২০ হাজার ৬৭৩।

# ঢাকা দক্ষিণে ১৮ লাখ ৭০ হাজার ৭৫৩ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১০ লাখ ৯ হাজার ২৮৬ জন ও নারী ৮ লাখ ৬১ হাজার ৪৬৭।

# চট্টগ্রামে ১৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৯ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ৯ লাখ ৩৭ হাজার ০৫৩ ও নারী ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৯৬।

ভোটকেন্দ্র

#  ঢাকা উত্তরে ১০৯৩টি ভোটকেন্দ্র, দক্ষিণে ৮৮৯টি এবং চট্টগ্রাম সিটিতে ৭১৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট চলবে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা

# ঢাকা উত্তরে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহ আলম, দক্ষিণে মিহির সারওয়ার মোর্শেদ ও চট্টগ্রামে আব্দুল বাতেন।

# রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে উত্তরে ১২ জন, দক্ষিণে ১৯ জন ও চট্টগ্রামে ১৪ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রয়েছেন। এদের সবাই নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা।

# ঢাকা উত্তরে এক হাজার ৯৩ জন প্রিজাইডিং, পাঁচ হাজার ৮৯২ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও ১১ হাজার ৭৮৪ পোলিং অফিসার মিলে মোট ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন ১৮ হাজার ৭৬৯ জন।

# ঢাকা দক্ষিণে ৮৮৯ জন প্রিজাইডিং, চার হাজার ৭৪৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং ও নয় হাজার ৪৯২ জন পোলিং নিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন ১৫ হাজার ১২৭ জন।

# চট্টগ্রামে ৭১৯ জন প্রিজাইডিং, চার হাজার ৯০৬ জন সহকারী প্রিজাইডিং, ১৯ হাজার ৮১২ জন পোলিং নিয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা রয়েছেন ১৫ হাজার ৪৩৭ জন।

মাঠে ৭৬ হাজার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য

# ভোট সামনে রেখে ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রস্তুত থাকছে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগ, পুলিশ, র্যা ব, বিজিবি, আনসার ভিডিপি, কোস্টগার্ড ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত নিরাপত্তা বাহিনী।

# মাঠে নিয়োজিত থাকবে ৭৮ হাজার ৭৩০ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, যার মধ্যে সেনানিবাসে রিটার্নিং অফিসারের আহ্বানের অপেক্ষায় তিনটি ব্যাটালিয়নে (প্রতি ব্যাটালিয়নে ৭৪১ জন) দুই হাজার ২২৩ জন সেনাসদস্য প্রস্তুত থাকবে।

# সেনা সদস্যসহ ঢাকা উত্তরে ৩০ হাজার ৭৬৪ জন, দক্ষিণে ২৬ হাজার ৪৯৬ জন এবং চট্টগ্রামে ২১ হাজার ৪৭০ জন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

# এর মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে ৩৫ প্লাটুন করে এবং চট্টগ্রামে ৩০ প্লাটুন বিজিবি থাকবে। প্রতি প্লাটুনে ৩৪ জন সদস্য করে করে মোতায়েন করা হবে তিন হাজার ৪০০ বিজিবি সদস্য।

# ঢাকার দুই ভাগে দুই প্লাটুন করে ও চট্টগ্রামে তিন প্লাটুন করে মোট ২৩৮ জন কোস্টগার্ড সদস্য থাকবে।

# র‌্যাবের টিম থাকবে ঢাকা উত্তরে ৭২টি, দক্ষিণে ১১৪টি ও চট্টগ্রামে ৮২টি। প্রতিটি টিমে আট জন করে তিন নগরে থাকবে দুই হাজার ১৪৪ জন সদস্য।

# মোবাইল ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে র‌্যাবের সমপরিমাণ টিম নিয়ে ২১৪৪ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

# স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ঢাকা উত্তরে ১৮টি টিম, দক্ষিণে ২৮টি টিম ও চট্টগ্রামে ২০টি টিম থাকবে। পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি টিমে ১৬ জন করে এক হাজার ৫৬ জন মাঠে থাকবে।

# প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সাতজন করে ১৮ হাজার ৯০৭ জন পুলিশ, একজন করে ব্যাটালিয়ন আনসার [সাধারণ কেন্দ্রে] নিয়ে ২৭০১ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে তিনজন ব্যাটালিয়ন আনসার নিয়ে আট হাজার ১০৩ জন নিরাপত্তা সদস্য নিয়োজিত থাকবে।

# এছাড়া সাধারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র বিবেচনায় ১৪ জন করে আনসার নিয়ে ৩৭ হাজার ৮১৪ জন মোতায়েন করা হবে।

# নির্বাহী হাকিম থাকবেন ৪৪১ জন, বিচারকি হাকিম ৩৩ জন। সেনানিবাসে ১৬ জন নির্বাহী হাকিম ঢাকা ও চট্টগ্রামের সেনা সদস্যদের সঙ্গে প্রস্তত থাকবে। ২৪ প্লাটুন বিজিবি রিজার্ভ থাকবে।

# এছাড়া তিন নগরের ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচন কমিশনের ৪৫ জন নিজস্ব পর্যবেক্ষক হিসেবে থাকবেন।

গত ১৮ মার্চ তিন সিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ২৯ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া, ১ ও ২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই এবং ৯ এপ্রিল প্রত্যাহারের শেষ সময় রাখা হয়।

ভোটের পর ২৯ এপ্রিল সব ফল নিয়ে ৩০ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।