সোমবার সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এক ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী জেলার আইনশৃংখলা পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি যৌথবাহিনীর অভিযান অব্যাহত ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা নিয়মিতভাবে চালু রাখার নির্দেশ দেন।
দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে টানা ৩৩ মিনিটের এই ভিডিও কনফারেন্স চলাকালে আট কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন।
এরা হলেন জেলা প্রশাসক মো. নাজমুল আহসান, পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির, জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ, সিভিল সার্জন ডা. সোহেল আহমেদ, যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক ও জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারাময়ী মুখার্জী।
আইলা ও সিডরের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এই জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে এবং আরও অনেক উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন আপনাদের আর কী চাই?”
এ সময় জেলা প্রশাসক জেলার স্বাস্থ্য, শিক্ষা, খাদ্য, কৃষি, মৎস্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ বিভাগ, ভোমরা স্থল বন্দরসহ অবকাঠামোগত সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন।
এই জেলায় এখন সব মানুষ শান্তিতে রয়েছেন বলে জানান জেলা প্রশাসক।
পুলিশ সুপার প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ২০১৩ সালে সাতক্ষীরা জামায়াত ও শিবিরের তাণ্ডবের মুখে অস্থির হয়ে উঠেছিল। এখন সে অবস্থা থেকে জেলাবাসী মুক্ত।
গত এক বছরে এই জেলায় কোনো হরতাল অবরোধ ও জ্বালাও পোড়াওয়ের একটি ঘটনাও ঘটেনি বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের বক্তব্যে সন্তোষ প্রকাশ করে তাদের নির্ভয়ে দায়িত্ব পালন করার কথা বলেন।
জেলা পরিষদ প্রশাসক মুনসুর আহমেদ জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবি তুললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে এলে তিনি সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।