সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে নির্বাচনী সামগ্রী বিতরণ তদারকের সময় ঢাকা দক্ষিণের রিটার্নিং কর্মকর্তা মিহির সারওয়ার মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, “গোলযোগ, প্রার্থীদের প্রভাব খাটানোসহ অতীতের বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় রেখে ১১৪টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি।”
এসব কেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ এসব কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৪ জন সদস্য থাকবেন যাদের ১২ জন হবেন অস্ত্রধারী।
সাধারণ কেন্দ্রে ২২ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবেন যাদের ১০ জন হবেন অস্ত্রধারী।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মোট ৮৮৯টি কেন্দ্রে এবার ভোট নেওয়া হবে।
কয়েক প্রার্থীর এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হয়েছে- গণমাধ্যমে আসা এমন খবর প্রসঙ্গে মিহির সারওয়ার বলেন, “যারাই আমাদের কাছে অভিযোগ করেছেন, আমরা তা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানিয়েছি। তবে এসব ক্ষেত্রে কে হুমকি দিল, কখন দিল আমাদেরকে তা সুনির্দিষ্ট করে জানাননি প্রার্থীরা।
“যে কোনো প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তারা নির্বাচনের অনিয়ম ঠেকাবেন। পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা বিধান করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব।”
তবে এজেন্টদের কাজের বিষয়ে সতর্ক করে দেন তিনি।
“পোলিং এজেন্টরা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটালে সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। অতীতে দেখা গেছে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীরা এসব এজেন্টদের দায়িত্ব নেননি।”
মিহির সারওয়ার জানান, বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আসা ভোটের ফলাফল গ্রহণ করতে মহানগর নাট্যমঞ্চে স্থাপিত নির্বাচন কমিশনের অস্থায়ী কার্যালয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা থাকবে।
অডিটোরিয়ামের ভেতরে স্থাপিত ১৯টি বুথে ফলাফল যাচাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া হবে। এরপর মূল মঞ্চ থেকে একে একে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, এবার ভোট পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিভিন্ন সংস্থা থেকে ১ হাজার ৪৪৫ জনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। কমিশন যাচাই-বাছাই শেষে ৫৬৬ জনকে অনুমতি দিয়েছে।