সোমবার বিকালে মল্লিকা সানাউল্লাহ আনসারী উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন রামগাঁতী ঘোনাপাড়ায় ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন সদরের খোকশাবাড়ির সাদেক হোসেন (৫৫) ও আমির হোসেন (২২)। তাদের সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রেনজন চাম্বু গং দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, সানাউল্লাহ আনসারী উচ্চ বিদ্যালয় ও ঘোনাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যবর্তী অংশে যমুনার একটি খালের উপর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন সেতুতে সকালে ঢালাইয়ের কাজ শুরু হয়।
ঢালাইয়ের শেষ মুহূর্তে হঠাৎ বিকট শব্দে সেতুর নিচের শাটারিং ভেঙে পড়ে।
এ সময় কর্মরত শ্রমিক সাদেক ও আমির ধসে যাওয়া সংরঞ্জামের নিচে পড়ে আহত হন।
নির্মাণ ত্রুটির পাশাপাশি যথাযথ মনিটরিং না করার কারণে সেতুটি ধসে গেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (ডিআরআরও) জাকিউস সাহেদ রহিম জানান, ঠিকাদার গায়ের জোরে স্টিলের শাটারিং ব্যবহার না করে চিকন বাঁশের শাটারিং ব্যবহার করায় সেতুটি ধসে গেছে।
তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শাহাজাহান আলী জানান, “নির্মাণ কাজ চলাকালে বেশ কয়েকবার সেখানে গিয়েছি। শাটারিং-এর গ্যাটিস খুলে যাওয়ায় ধসের ঘটনা ঘটেছে।”
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্রেনজন চাম্বু গং দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ঠিকাদারকে এখনও কোনো বিল প্রদান করা হয়নি। ধসের কারণে ক্ষয়ক্ষতি তাকেই বহন করতে হবে।
জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, সেতু ধসের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শহরের বালু ব্যবসায়ী মুসা কনস্ট্রাকশন সেতুটির ঠিকাদারির দায়িত্ব পেলেও শহরের ধানবান্ধি মহল্লার মোনায়েম হোসেন কাজটির সাব ঠিকাদার।
গত ২৭ মার্চ সেতুটির নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।