আবারও ভূকম্পন

নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরাঘাতে দুদিন পর আবার কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 April 2015, 01:27 PM
Updated : 27 April 2015, 08:05 PM

সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে সৃষ্ট এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল বাংলাদেশ সীমান্তের কাছেই ভারতের মিরিকে।

ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ১। এর কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের ৬৭ কিলোমিটার গভীরে।

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের মিরিক বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের সীমান্তের বাংলাবান্ধা চেক পয়েন্ট থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে। আর ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪৭৩ কিলোমিটার।

এটি নেপালের শনিবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের পরাঘাত বলে ভূকম্পন গবেষকরা বলছেন।

এই ভূকম্পন উত্তরাঞ্চল ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অনুভূত হলেও কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত আর্থ অবজারভেটরির প্রধান অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার জানান, এ ধরনের ‘আফটার শক’ এক সপ্তাহ থেকে মাস দুয়েক স্থায়ী হতে পারে।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বড় ভূমিকম্পের পর আফটার শকগুলোর তীব্রতা কমতে থাকে। নেপালের প্রধান ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৯। সোমবারের আফটার শকের মাত্রা রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ১।

“তার মানে মাত্রা কমছে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”

শনিবার বেলা ১২টা ১১ মিনিট ২৭ সেকেন্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশ। এর উৎপত্তিস্থল ছিল নেপালের লামজুংয়ের ২৯ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে, মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮।

ওই ভূমিকম্পে কেবল নেপালেই প্রায় ৩৮০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে; আহত হয়েছে সাড়ে ছয় হাজারের বেশি আহত হয়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে বহু ঘরবাড়ি, স্থাপনা ও ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন।

বিধ্বংসী ওই ভূকম্পনের পর থেকে পরাঘাত হিসেবে গত দুদিন ধরে নানা মাত্রার ভূকম্পন হচ্ছে। 

অধ্যাপক হুমায়ুন বলেন, প্রধান ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে কাঠমাণ্ডুর একশ’ ৩০ কিলোমিটার পূর্বের দিকে আফটার শক হচ্ছে। এতে বোঝা যায়, ওই এলাকার ফ্র্যাকচারের ওপরই এ আফটার শক হচ্ছে।

নরম পলিমাটির ওপর বাংলাদেশের অবস্থান থাকায় আফটার শকেও ভূকম্পন বেশ অনুভূত হচ্ছে বলে জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের এই শিক্ষক।