এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মৃধার নাম বাদ দিয়েই চট্টগ্রামের আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছিল দুদক।
মামলাটি বাতিল চেয়ে করা তিন শিক্ষকের আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এই রায় দেয়।
ওই নিয়োগের যারা সুবিধাভোগী, তাদের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে অনুসন্ধান ও তদন্ত চালাতে দুদকে নির্দেশ দেওয়া হয় এই রায়ে।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামান।
কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব রেলের তখনকার জিএম ইউসুফ আলী মৃধাসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম কতোয়ালি থানায় এ মামলা করে দুদক।
গত বছরের ১৪ অক্টোবর ইউসুফ মৃধাকে বাদ দিয় ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এজাহারে না থাকলেও অভিযোগপত্রে খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজের তিন শিক্ষকের নাম আসে, যারা পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে যুক্ত ছিলেন।
এই তিনজন হলেন- আব্দুল ওয়াদুদ ভুইয়া, তপন কুমার দাস ও জহিরুল ইসলাম।
অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলা বাতিল চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেন তিন শিক্ষক। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি হাই কোর্ট রুল ও স্থগিতাদেশ দেয়।
এরপর আপিল বিভাগের আদেশে রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাই কোর্ট রোববার মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিল।
রায়ের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হাই কোর্ট রায়ে চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতকে ইউসুফ আলী মৃধার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিতে বলেছে। রুল খারিজ করে স্থগিতাদেশও প্রত্যাহার করেছে আদালত।”
ফলে এখন আর এ মামলার কার্যক্রম চলতে আইনি ‘কোনো বাধা নেই’ বলে জানান এই আইনজীবী।
২০১২ সালের ৯ এপ্রিল গভীর রাতে রাজধানীর বিজিবি সদর দপ্তরে তৎকালীন রেলমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) ওমর ফারুকের গাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়ার ঘটনায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে ওই গাড়িতে থাকা ইউসুফ মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। চাকরিচ্যুত হন ওমর ফারুকও।
এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রেলওয়েতে বিভিন্ন পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রামে ১৪টি মামলা করে দুদক।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ইউসুফ মৃধার বিরুদ্ধে আলাদা মামলা হয়েছে।