রোববার ফতুল্লায় জব্বার ফ্যাশন ও কাঠেরপুলে ক্যাডটেক্স কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শিল্প-৪ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জহির এ দুই সংঘর্ষের খবর নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, ফতুল্লার পূর্ব ইসদাইর এলাকায় জব্বার ফ্যাশনের কারখানা গত ১৬ এপ্রিল বন্ধ ঘোষণা করে এবং কারখানাটি দুই কিলোমিটার দূরে অন্যত্র স্থানান্তর করার ঘোষণা দেয় মালিকপক্ষ।
রোববার সকালে শ্রমিকরা ওই কারখানা খোলার দাবি জানায় এবং তালা ভেঙ্গে তারা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে।
এ সময় পুলিশ বাধা দিলে তাদের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে শটগানের ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে ওই কারখানার ৭ শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়।
গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মরিয়ম (২০), রুজিনা (২২), রেহানা (২৫), পারভিন (২০), শিউলী (২৪), রেখা (২০) ও মুন্নি (২২)।
অন্যদিকে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ফতুল্লার কাঠেরপুর এলাকার ক্যাডটেক্স পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কারখানা কর্তপক্ষ।
ওই কারখানার শ্রমিকরা পলমল, মাইক্রোফাইবারসহ আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের বের করে আনার চেষ্টা করে। এ সময় ওই কারখানাগুলো লক্ষ্য করে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পরে পুলিশ গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ শটগানের গুলি ছুড়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এতে ওই কারখানার ১০ শ্রমিক আহত হয়।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের জেলা শাখার সভাপতি এমএ শাহীন জানান, পুলিশ বিনা উস্কানিতে শ্রমিকদের উপর গুলি করেছে। এতে ৭ শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন।
শিল্প-৪ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জহির সাংবাদিকদের জানান, জব্বার ফ্যাশন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কারখানার খোলা এবং অন্যত্র কারখানা শিফট করার প্রতিবাদে তারা তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়।
ওই সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ শটগানের গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জহিরুল ইসলাম আরও বলেন, ক্যাডটেক্স পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কারখানার খোলার দাবিতে অন্য কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ শটগানের ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।