“জয়-পরাজয় যাই হোক, আমি মাথা পেতে নেব,” নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন রোববার যাত্রাবাড়ী এলাকায় জনসংযোগের সময় সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
ঢাকা দক্ষিণে সাঈদ খোকনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। মামলা মাথায় নিয়ে তিনি অপ্রকাশ্যে থাকলেও তার প্রচারে সরব ছিলেন স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।
সাঈদ খোকন বলেন, “প্রচারণায় অনেকে আমার বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ দিয়েছেন। আমি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ তো দূরের কথা, প্রতিদ্বন্দ্বীর নামও নেইনি।
“মির্জা আব্বাস আমার বাবার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন। তিনি মুরুব্বি, মুরুব্বিদের নাম নেওয়াও আমাদের রীতিতে নেই। অনেকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলেও আমি সহ্য করেছি, ধৈর্য ধরেছি। মেয়র নির্বাচিত হলেও এমন ধৈর্যের পরিচয় দেব।”
দুপুরে সায়দাবাদে নিজের ইলিশ প্রতীকে ভোট চেয়ে যাত্রাবাড়ীতে যান সাঈদ খোকন। গাড়িবহর নিয়ে ঘুরে ঘুরে ভোট চান তিনি, যা নির্বাচনী বিধির লঙ্ঘন।
মেয়র হলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করার অঙ্গীকার করে এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “আমি এ সরকারের আমলে কোনো ব্যবসা-বাণিজ্য করিনি। দলকে ব্যবহার করিনি। দুর্নীতির সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের কাছে নিজের নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামও ব্যবহার করেন সাঈদ খোকন।
“এই মেয়র হানিফ উড়াল সেতুর মতো উন্নয়নের গতি অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনা সমর্থিত প্রার্থীকে ভোট দিন। বাসযোগ্য ঢাকা গড়তে ইলিশ প্রতীকে ভোট দিন।”
যাত্রাবাড়ীর পর বিকালে পুরান ঢাকার নয়াবাজার, তাঁতীবাজার ও বাবুবাজার এলাকায় প্রচারণা ও পথসভা করেন সাঈদ খোকন।