রোববার ব্যাংকের ভেতরে ধুয়ে মুছে পরিষ্কারের পর সকাল ৯টা থেকে আবার কার্যক্রম শুরু হয় বলে কাঠগড়া শাখার নতুন ব্যবস্থাপক ফিরোজ আহমেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে কমার্স ব্যাংকের কাঠগড়া শাখায় অস্ত্র ও বোমা নিয়ে ডাকাতরা হানা দেয়। তারা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক, নিরাপত্তারক্ষীসহ তিনজনকে হত্যা করে ক্যাশ থেকে টাকা নিয়ে পালানোর সময় স্থানীয়রা প্রতিরোধ করে।
এ সময় ডাকাতদের গুলি ও বোমায় আরও তিনজন নিহত হন। এছাড়া ঘটনার চারদিন পর সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার দিন জনতার ধাওয়ার মুখে সন্দেহভাজন ডাকাতদের দুজন মোটর সাইকেল থেকে পড়ে গেলে গণপিটুনিতে নিহত হন তাদের একজন। এরপর ওইদিন থেকে লেনদেনসহ ব্যাংকের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ থাকে।
ব্যাংকটি খোলার পর সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কিছু গ্রাহক লাইনে দাঁড়িয়ে বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য ব্যাংকের সামনে অপেক্ষা করছে। কঠোর নিরাপত্তার ভেতর দিয়ে গ্রাহকদের ভেতরে ঢুকতে হচ্ছে। ব্যাংকের নিচে পুলিশি নিরাপত্তাও দেখা গেছে।
নতুন ব্যবস্থাপক ফিরোজ আহমেদ বলেন, সকাল থেকে ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হলেও কর্মকর্তা ও সাধারণ গ্রাহকদের চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ রয়েছে।
এদিকে ডাকাতের হামলায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসা ব্যায় বহনের ঘোষণা দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
শনিবার রাতে এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে হামলায় গুরুতর আহত চিকিৎসাধীন রোগীদের দেখতে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী হাওলাদার।
এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদেক মো. সোহেল, ডিএমডি এএসএম আমিনুল কবীরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে এ ঘটনার দিনে নিহত সাতজনের পরিবারকে এক লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।