বিচারক স্বল্পতার কথা বললেন প্রধান বিচারপতি

মামলা জট এড়াতে বিচারক স্বল্পতার কথা তুলে ধরলেন প্রধান বিচারপতি এক কে সিনহা। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2015, 07:35 PM
Updated : 25 April 2015, 07:35 PM

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক সেমিনারে তার বক্তব্যে আদালতগুলোতে এজলাস সঙ্কটের কথাও ‍উঠে আসে।

মামলা জট এড়াতে দৃশ্যত এই দুটি সঙ্কট সমাধানের উদ্যোগ প্রত্যাশা করেছেন প্রধান বিচারপতি। সেই সঙ্গে বিচারকদের পূর্ণ সময় বিচার কাজে ব্যবহারের আহ্বানও জানান তিনি।

তিনি বলেন, সারা দেশের আদালতে বিচারকের পদের সংখ্যা ১ হাজার ৬৫৫টি হলে ৪৫৭টি পদ এখনও শূন্য। আর এই আদালতগুলোতে মামলার সংখ্যা ৩০ লাখ।

“আদালত কক্ষের অভাবে এক বিচারক সকালে এজলাসে বসছে। আরেক জন বিচারককে দ্বিতীয় সেশনে বসতে হচ্ছে। তাহলে কিভাবে তারা ৩০ লাখ মামলার দিকে নজর দেবে?”

এসব শূন্য পদে নিয়োগেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দীর্ঘ সময় লেগে যাওয়ার কথা বলেন তিনি।

“এখন ২০১৫ চলছে, এখনও নিয়োগের জন্য রিকুইজিশন আসেনি। এসব শূন্য পদ পূরণে এমনকি আজকে প্রস্তাব এলেও দুই বছর সময় লেগে যাবে।”

সুপ্রিম কোর্টের মতামত ছাড়াই আইন প্রণয়ন করে বিচার বিভাগে নতুন নতুন পদ সৃষ্টি করার আগে সামর্থ্য ভেবে দেখার পরামর্শও দেন প্রধান বিচারপতি। 

তিনি বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের ফলে মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তবে সেই অনুপাতে বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না।

এজলাস সঙ্কটের কথা তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণ সংক্রান্ত কিছু নথিপত্র আইন মন্ত্রণালয়ে, কিছু ভূমি মন্ত্রণালয়ে, কিছু ডেপুটি কমিশনারের দপ্তরে পড়ে আছে।

২০০৭ সালে বিচার বিভাগ পৃথক হলেও এখন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন নির্মাণাধীন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, “আমলা অর্থ শুধু ডেপুটি কমিশনার বা অন্য কোনো অংশীপক্ষ (স্টেকহোল্ডোরস) নয়, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারাও। যখন বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা প্রেষণে কোনো মন্ত্রণালয়ে বা বিভাগে যান, তখন তারা বড় আমলা বনে যায়।”

মাসিক লিগ্যাল এইড আয়োজিত ‘একসেস টু জাস্টিস : জুডিশিয়াল রেমেডি’ শীর্ষক এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন লিগ্যাল এইডের সম্পাদক খাজা গোলাম মুর্শিদ। বক্তব্য রাখেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী, বিচারপতি নাঈমা হায়দার, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ প্রমুখ।