সাঈদ খোকনের গণমিছিলের পাহারায় পুলিশ

নির্বাচনী বিধিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই গাড়িবহর, মোটর সাইকেল নিয়ে মিছিল করলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র প্রার্থী সাঈদ খোকন।

কাজী মোবারক হোসেনবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2015, 06:58 PM
Updated : 25 April 2015, 06:58 PM

গাড়িবহর নিয়ে প্রচারে নামায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সতর্ক করে রিটার্নিং কর্মকর্তার চিঠি পাঠানোর দিনই আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীর এই মিছিল হয়।

সামনে-পেছনে পুলিশ পাহারায় এই গণমিছিলে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় তীব্র যানজট।

২৮ এপ্রিল ভোটের প্রচার শেষের আগের দিন শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় এই মিছিল নবাবপুর রোড থেকে শুরু হয়ে রায় সাহেব বাজার মোড়, ধোলাই খাল, টিপু সুলতান রোড, র‌্যাঙ্কিং স্ট্রিট, হেয়ার স্ট্রিট হয়ে রাজধানী মার্কেটের সামনে হয়ে টিকাটুলির কেএম দাস, অভয় দাস লেন শেষ করে হাট খোলায় পৌঁছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শেষ হয়।

মিছিলের সামনে ছিলেন সাঈদ খোকন। হাত উঁচিয়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানান তিনি। ‘বাসযোগ্য ঢাকা’ গড়তে নিজের ইলিশ প্রতীকে ভোটও চান তিনি।

মিছিলে সাঈদ খোকনের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দিসহ ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের স্লোগানও দেওয়া হয় ওই মিছিল থেকে।

সকাল সাড়ে ৯টায় পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের বাসা থেকে বেরিয়ে কয়েকটি অনুষ্ঠানের পর দুপুরে ঘরে ফেরেন ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফের ছেলে সাঈদ খোকন।  

দুপুরের পর বেরিয়ে শান্তিনগরের হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করেন।

এদিকে বিকাল ৫টায় নবাবপুর রোড থেকে সাঈদ খোকনের গণমিছিলের কর্মসূচি থাকায় ওয়ারী-সুত্রাপুর থানায় তার সমর্থকরা আগেই জড়ো হয়েছিলেন সেখানে।

বিকাল সাড়ে ৫টায় আটটি গাড়ির বহর নিয়ে গণমিছিলের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হন সাঈদ খোকন। পরে সেখান থেকে মিনি ট্রাকে উঠে গণমিছিল শুরু করেন তিনি।

গণমিছিলের সামনে ও পেছনে শতাধিক মোটর সাইকেল ছিল। সাউন্ড বক্সসজ্জিত ছয়টি মিনি ট্রাক, দুটি করে মাইকসহ চারটি রিকশা, তিনটি বাদক দল ও ১৮-২০টি হ্যান্ডমাইক ছিল কয়েক হাজার মানুষের ওই মিছিলে।

মিছিল যেসব স্থান দিয়ে যাচ্ছিল, সেখানে সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পাশাপাশি আশপাশের সড়কে দেখা দেয় যানজট।

নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, ঘরোয়া বৈঠক কিংবা মতবিনিময় সভা করা গেলেও মিছিল, শোভাযাত্রা, জনসভা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। সড়কে চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কোনো প্রচারও চালানো যাবে না।  

ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত সাঈদ খোকনের দীর্ঘ এ মিছিলের সামনে-পেছনে ছিল পুলিশের পাহারা।

পুলিশের মোটর সাইকেলের টহল দল ছিল, ওয়ারি থানা পুলিশের দুটি গাড়ি ছিল মিছিলের সামনে-পেছনে, পুলিশের তিনটি মোবাইল টিমও ছিল।

গণমিছিলের পর সাঈদ খোকন গাড়িবহর নিয়ে লালবাগের ২৭, ২৮, ২৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন।