এছাড়া আইসিটি আইনে উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহকারী এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় আরেকটি মামলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায়।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. শাদাত উল্লার সভাপতিত্বে শনিবার সকালে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরফান আলীর বেতন, শিক্ষা ছুটি ও ডেপুটেশন বাতিলসহ চাকুরীবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এছাড়া তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছে সিন্ডিকেট।
প্রধানমন্ত্রীকে ফেইসবুকে আরফান আলীর কটূক্তির ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে জরুরি সিন্ডিকেট ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ। এই শিক্ষকের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভও করেন।
গত ২০ এপ্রিল শেকৃবি শিক্ষার্থী মাল্টি মাহমুদ নামে ফেইসবুক আইডি থেকে পহেলা বৈশাখের দিন নারীদের যৌন নিপীড়নের ঘটনায় এক সমাবেশ নিয়ে স্ট্যাস্টাস দেওয়া হয়।
ওই স্টাটাসে বলা হয়, “পহেলা বৈশাখে নারীদের যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে আসা এই আফার কি ওড়না ছিল না বাসায়, নাকি তিনি শো-অফ করতে আসছিলেন এখানে...।”
এই স্টাটাসে শিক্ষক আরফান আলী লিখেন “Vi re jotoi clean hok kono lav nai kono Bichar hobena.. Because, Sheik Hasina is the mother of Rapist.”
এই শিক্ষককে বরখাস্ত করাসহ ছয় দফা দাবি জানিয়ে উপাচার্যর কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক মো. সেকেন্দার আলীকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।