গণভবনে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা

বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ও টি-টোয়েন্টিতে  জেতায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের প্রশংসা করে ভবিষ্যতে  আরো ভালো খেলতে তাদের উৎসাহ যুগিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 April 2015, 12:03 PM
Updated : 25 April 2015, 04:48 PM

শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ক্রিকেটারদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের সোনার ছেলেরা যখন ভালো খেলে, তখন আরো ভালো লাগে।”

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ছাড়াও কোচ এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তা ও নির্বাচকরা উপস্থিত ছিলেন।

পরে খেলোয়াড়দের নিয়ে কেক কেটে সবার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

বিশ্বকাপ ক্রিকেটে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ায় বাংলাদেশ দলকে এক কোটি টাকা এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ ও একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে জয়ী হওয়ায় এক কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সবাইকে গাড়ি এবং নির্দিষ্ট একটি আবাসন প্রকল্পে ফ্ল্যাট দেওয়ার ঘোষণা দেন।

এছাড়া বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে উইনিং মানি হিসাবে এক কোটি টাকা, আইসিসি থেকে তিন কোটি, বিসিবি থেকে এক কোটি ৩০ লাখ এবং বেক্সিমকো থেকে এক কোটি টাকা পাবে।

গণভবনের ব্যাঙকোয়েট হলে সব খেলোয়াড়ের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।

শুরুতেই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাতে চাই মাঠে গিয়ে খেলা দেখে অনুপ্রেরণা দেওয়ার জন্য।”

পাকিস্তান এই সফরে দুটি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশের সঙ্গে। এর পরপরই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশ সফর করবে।

আগামী সিরিজগুলোর জন্য ক্রিকেটারদের প্রস্তত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তোমরা সোনার ছেলে, তোমাদের নিয়ে গর্ববোধ করি।”

টেস্ট সিরিজেও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইনশাল্লাহ টেস্ট সিরিজ জিতবো।

“ওয়ার্ল্ড কাপও একদিন জিতবো।”

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বকাপে যেভাবে বাংলাদেশ খেলা দেখিয়েছে, পুরো বিশ্ব অবাক হয়ে গেছে। টাইগাররা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মতোই আবির্ভূত হয়েছে।

“খেলায় হারা-জেতা থাকে। কিন্তু কতটুকু খেললো- সেটাই বড় বিষয়।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সকলের মধ্যে আত্মরিকতা ছিল। ভালো খেলতে হবে- এই আত্মবিশ্বসটা ছিল। আমরা পারব- এই আত্মাবিশ্বাসটা থাকতে হবে।”

টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য পৃথক খেলোয়াড় নির্বাচনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী  বলেন, “তিন খেলার তিন রকম মেজাজ। এজন্য ব্যাটিংয়ের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।”

কক্সবাজারে আরেকটি বড় স্টেডিয়াম এবং খেলোয়াড়দের জন্য কল্যাণ তহবিল করার কথাও বলেন সরকার প্রধান।

প্রধানমন্ত্রীর আগে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন তার বক্তব্যে বলেন, “এই বিশ্বকাপে আমাদের কোনো খেলোয়াড়কে কোনো দলের বিরুদ্ধে ভয় পেতে দেখিনি।”

পাকিস্তানের বিপক্ষে তামিম ইকবালের দুই সেঞ্চুরি, তাসকিনের নয় উইকেট এবং মাশরাফির সাত উইকেট পাওয়াসহ নাম ধরে ধরে ক্রিকেটারদের কীর্তি তুলে ধরে তাদের প্রশংসা করেন পাপন।

বিসিবি প্রধান বলেন, “মুশফিক (মুশফিকুর রহিম) একদিন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান হবে। সাকিব (সাকিব আল হাসান) তো বিশ্ব সেরা। সৌম্য সরকার ও সাব্বির সকলের নজর কেড়েছে। আর কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সবচেয়ে বড় অবদান রুবেলের দুটি বল।

“এটা শুরু। সামনে অনেক বড় পথ পাড়ি দিতে হবে।”