ফরিদপুরের আ. লীগ নেতা মোকাররম হাজতে

চাঁদাবাজিসহ একাধিক মামলার আসামি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোকাররম মিয়া বাবুকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2015, 03:54 PM
Updated : 24 April 2015, 04:50 PM

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোড থেকে মহানগরীর রমনা থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার এসআই মাসুদ রানা জানান, সন্ধ্যায় মোকাররম মিয়া বাবুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতের (রিমান্ড) আবেদন করা হয় ফরিদপুর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে।

আদালত আগামী রোববার রিমান্ড আবেদনের উপর শুনানির দিন ধার্য করে।

গত এক সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় চারটি চাঁদাবাজি ও একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ওসি সৈয়দ মোহসিনুল হক বলেন, ফরিদপুর থানা থেকে একটি গ্রেপ্তার আদেশ অনুযায়ী মোকাররম বাবুকে গ্রেপ্তার করে রমনা থানা পুলিশ।

শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ তাকে ঢাকা থেকে ফরিদপুর নিয়ে আসে।

ওসি জানান, বাবুর বিরুদ্ধে গত রোববার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন ফরিদপুর শহর যুবলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন বরকত।

তারপর থেকে এ পর্যন্ত মোকাররম মিয়া বাবুর বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা হয় বলে জানান ওসি মোহসিনুল।

মামলাগুলো হলো জেলা শ্রমিক লীগের অর্থ সম্পাদক বিল্লাল হোসেনের দায়ের করা শহরের স্বর্ণকমল মার্কেট নির্মাণ সংক্রান্ত ৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজি, শহরতলীর মাচ্চরের আওয়ামী লীগ নেতা সরোয়ার হোসেন সন্টুর বিদেশে লোক পাঠানো সংক্রান্ত ১৫ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা, শহরের আলীপুরের যুবলীগ নেতা শফিউল আলমকে চাঁদা চেয়ে হুমকি দিয়ে এক লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলা এবং শহরতলীর কৈজুরী ইউনিয়নের ডোমরাকান্দি এলাকার একস নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলা।

গত ১৬ এপ্রিল ফরিদপুর শহরে মোকাররম বাবু ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রীর সাবেক এপিএস সত্যজিৎ মুখার্জির বিরুদ্ধে মিছিল ও সমাবেশ করেন জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

তারা সমাবেশ থেকে বাবু ও সত্যজিতের দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদকব্যবসা ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে মাশোহারা আদায়ের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

একই সঙ্গে অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করারও দাবি জানান তারা।

এরপর থেকেই বাবু ও সত্যজিত পালিয়েছিলেন। সত্যজিত এখনও পলাতক রয়েছেন।