বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত একেএ মোমেনের বাসায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “ভবিষ্যতে আর কেউ যাতে রাজনীতির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে না পারেন, সে কারণেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল।”
কিন্তু বাংলাদেশের বড় একটি রাজনৈতিক দলের নেত্রী এবং দুবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়ার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘ভিন্নভাবে দেখে থাকতে পারেন’ বলে মুহিতের ধারণা।
“শেখ হাসিনার কাছে জাতীয় স্বার্থ বরাবরই প্রাধান্য পায়। তিনি এ ব্যাপারে যদি কিছুটা ছাড় দিয়ে থাকেন তাহলে সেটি জাতীয় স্বার্থেই হয়েছে বলে মনে করতে হবে।”
গত ৫ জানুয়ারি থেকে বিএনপি জোটের ৯২ দিনের হরতাল-অবরোধে নাশকতা ও সহিংসতায় দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় খালেদাকে হুকুমের আসামি করে মামলাও করা হয়েছে।
এসব মামলায় খালেদা গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে কথা চললেও শেষ পর্যন্ত বিএনপি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আসায় পরিস্থিতি বদলাতে থাকে। হরতাল বন্ধ রেখে ঢাকা ও চট্টগ্রামকে অবরোধের বাইরে রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন এখন নিয়মিত ভোটের প্রচার চালাচ্ছেন।
মুহিত বলেন, “শেখ হাসিনা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সুসংহত করতে বদ্ধ পরিকর। একইসঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে যে কোনো বিষয়ে সমঝোতায় তার আন্তরিকতার অভাব নেই।”
নিজের ছোট ভাই মোমেনের বাসায় আসার আগে নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান কনসাল জেনারেল মো. শামীম আহসান।
মন্ত্রী কনস্যুলেট অফিসের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন এবং কনস্যুলার সেবা নিতে আসা প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলেন।
পরে তিনি কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজের প্রশংসা করে সংশ্লিষ্টদের আরও আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা দেওয়ার আহ্বান জানান।
বিশ্ব ব্যাংক ও আইএমএফ’র বসন্তকালীন বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার থেকে নিউ ইয়র্কে অবস্থান করছন অর্থমন্ত্রী মুহিত। শুক্রবার ঢাকার উদ্দেশ্যে তার নিউ ইয়র্ক ছাড়ার কথা রয়েছে।