বিএনপি সেনা উসকানি দিচ্ছে: কামরুল

সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি সেনা উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছেন আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2015, 12:42 PM
Updated : 24 April 2015, 12:42 PM

এ অভিযোগে বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তারেরও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল শুক্রবার এক আলোচনা সভায় বলেন, “বিএনপি নতুন করে সঙ্কট তৈরি করতে চাচ্ছে। সেনা বাহিনীকে উসকানি দিচ্ছে। এ জন্য বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা উচিৎ।

গত জাতীয় নির্বাচন বর্জন করা বিএনপি এবার সিটি নির্বাচনের কয়েক দিন আগে থেকে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ‘তার প্রয়োজন নেই’ বলে মত দিয়ে আসছে।

এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোট ঘিরে চারদিন রিজার্ভ ফোর্স ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে সেনাবাহিনী ব্যবহারের ঘোষণা দিলেও একদিনের মাথায় সিদ্ধন্তে পরিবর্তন আনে। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেনা সদস্যরা সেনানিবাসের ভেতরেই থাকবেন; রিটার্নিং কর্মকর্তারা অনুরোধ করলে তারা বাইরে আসবেন।

এর সমালোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনা প্রধান মাহবুবুর রহমান শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে বলেন, “আমরা নাটক দেখতে চাই না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সেনাবাহিনীকে আমরা ভোটগ্রহণের দিন দৃশ্যমান দেখতে চাই।”

এই প্রেক্ষাপটেই মাহবুবের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগে আনেন আওয়ামী লীগের কামরুল।

তিনি বলেন, “বিএনপি জানে, নির্বাচনে তাদের ভরাডুবি হবে। মানুষ ৯২ দিনের নাশকতা ভুলে যায়নি। গণতান্ত্রিক ধারাকে সন্ত্রাসের পথে নিয়ে যাওয়া। গণতন্ত্র ধ্বংস করার চেষ্টার জবাব ব্যলটের মাধ্যমে দিতে মানুষ প্রস্তুত।”

বিএনপি নির্বাচনপরবর্তী সময়ে আবারও সেই ‘বোমাবাজি-নাশকতায় ফিরে যাওয়ার’ ক্ষেত্র তৈরি করছে বলেও মন্তব্য করেন কামরুল।

তিনি বলেন, “এরা বিষধর সাপ। ব্যালটের মাধ্যমে এদের জবাব দিতে হবে।”

নির্বাচনী প্রচারের সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের হামলার ঘটনাকেও কামরুল নাটক বলেন।

“খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাকর্মীরা যেসব ঘটনা ঘটিয়েছে এর বাইরে এ সকল ঘটনার কোনো প্রতিফলন নেই। নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। লাশের গন্ধ যে মহিলার গায়ে, উনি নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছেন। এই বিষফোঁড়া বিদায় করতে হবে।”

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘনেরও অভিযোগ আনেন কামরুল।

ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পরিষদের এই আলোচনা সভায় সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দী, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওসার উপস্থিত ছিলেন।