বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুষ্ণপুরা এলাকার ওই কারখানায় আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কোমল পানীয় মোজো, ক্লেমন, লেমু, এনার্জি ড্রিংকস স্পিড, জুস ফ্রুটিকা, পাস্তরিত তরল দুধ ফার্ম ফ্রেশ ও ঘি তৈরি করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা গত ১৩ এপ্রিল ওই কারখানা পরিদর্শন করে দেখতে পান, কারখানার অপরিশোধিত তরল বর্জ্য পাশের জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে।
“এতে পরিবেশ ও জলজ জীববৈচিত্রের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় বুধবার আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে শুনানির জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের সদর দপ্তরে তলব করা হয়।”
শুনানি শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট) আলমগীর হোসেন আকিজ কর্তৃপক্ষকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে আকিজ ফুড অ্যান্ড বেভারেজের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
যশোরের ব্যবসায়ী শেখ আকিজ উদ্দিন গত শতকের পঞ্চাশের দশকে বিড়ি দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও পরে বিভিন্ন খাতে কাজ শুরু করেন।
বর্তমানে আকিজ গ্রুপের অধীনে দেড় ডজন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আকিজের ছেলেরাই এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা দেখেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের হিসাবে বর্তমানে আকিজ পরিবারের নিট সম্পদের পরিমাণ ৭০০ কোটি টাকা বলে গণমাধ্যমের খবর।
শেখ আকিজ উদ্দিনের দ্বিতীয় সন্তান শেখ আফিল উদ্দিন যশোর-১ আসনে ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ।
যশোরে আকিজ গ্রুপের চামড়া প্রক্রিয়াকরণ কারখানা এসএএফ ইন্ডাস্ট্রিজকেও এর আগে পরিবেশ দূষণের দায়ে ৭০ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদপ্তর।