সহকর্মীকে উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে পিটুনি

মাগুরার মহম্মদপুরে এক শিক্ষিকাকে উত্ত্যক্তে বাধা দেওয়ায় প্রধান শিক্ষককে পিটিয়ে স্কুলে তালাবন্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির বিরুদ্ধে।

মাগুরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2015, 02:08 PM
Updated : 21 April 2015, 02:08 PM

মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার বাবুখালির পাড়ুয়ারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী ফকিরকে উদ্ধার করে।

তাকে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এছাড়া বিদ্যালয়ের সভাপতি তপন কুমার ঘোষকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

আইয়ুব আলী ফকির জানান, তপন কুমার ঘোষ বিদ্যালয়ের দুই সহকারী শিক্ষিকা (নাম প্রকাশ করা হলো না) প্রায়ই নানা অজুহাতে উত্ত্যক্ত করতেন। তাদেরকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি, গালাগাল এমনকি কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাবও দিতেন।

তিনি অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে তপন স্কুলে এসে এক শিক্ষিকাকে গালাগাল এবং এক পর্যায়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করলে তিনিসহ অন্য তিন শিক্ষক তাকে বাধা দেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধান শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করেন।

এক পর্যায়ে তিনি ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার উপর হামলা চালান এবং সবাইকে স্কুলের একটি কক্ষে আটকে বাইরে থেকে তালা দিয়ে চাবি নিয়ে চলে যান।

প্রায় ঘণ্টাখানেক পর এলাকার লোকজন বাবুখালি পুলিশ ফাঁড়ির সহযোগিতায় তাদের মুক্ত করে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তপন কুমার ঘোষ বলেন, “প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলীর সঙ্গে জমি নিয়ে পূর্ব বিরোধের জন্য এ ঘটনা ঘটেছে।

তবে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন দুই সহকারী  শিক্ষিকা।

মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোকছেদুল মোমিন বলেন, আইয়ুব আলীর শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে বেদম মারধর করা হয়েছে।

মহম্মদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম জানান, “এ বিষয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

মহম্মদপুর থানার ওসি আতিয়ার রহমান বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। এ বিষয়ে মামলা হবে।