বৃত্তি বাড়াতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আহ্বান রাষ্ট্রপতির

দরিদ্র শিক্ষর্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ নিশ্চিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৃত্তিসহ আনুষঙ্গিক সুবিধা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2015, 01:56 PM
Updated : 21 April 2015, 01:56 PM

তিনি বলেছেন, “বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন ব্যয়বহুল বিধায় এখানে সমাজে পিছিয়ে পড়া দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া করার সুযোগ কম। এজন্য উচ্চশিক্ষা প্রদানে তাদের বৃত্তিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা আরও বাড়াতে হবে।”

মঙ্গলবার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) দ্বিতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার প্রকৃত কেন্দ্রে পরিণত করার আহ্বান জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, “সরকার দেশে উচ্চশিক্ষার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করেছে। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্বের তুলনায় বেশি সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হবে এসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষার প্রকৃত কেন্দ্রে পরিণত করা।

“তা না হলে দেশে উচ্চ শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়বে এবং আমরা বিশ্ব প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে পড়বো। যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সৃষ্টি হয়েছে তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশ ও জাতির প্রতি দায়বদ্ধ থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জ্ঞানার্জনের প্রকৃত ক্ষেত্রে পরিণত হোক দেশবাসী তা প্রত্যাশা করে।”

সমাবর্তনে ডিগ্রিপ্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে বিইউবিটি আচার্য আবদুল হামিদ বলেন, “জীবনের এই পথ কুসুম শোভিত নয়। বরং তা নানা ঘাত-প্রতিঘাতে কণ্টকাকীর্ণ। এখানে নিজেদের প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর সংগ্রাম, পরিশ্রম ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।”

নতুন গ্রাজুয়েটদের দেশের প্রতি দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, “তোমরা মনে রাখবে তোমাদের পূর্ব পুরুষের কথা, মনে রাখবে যারা স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিয়েছেন তাদের কথা, মনে রাখবে এদেশের খেটে খাওয়া মানুষের কথা, তাদের আনন্দ-বেদনার কথা। তা হলে কোনো বাধাই তোমাদের আগলাতে পারবে না। সমাজের অসত্য ও অসুন্দরের ফিকে রং তোমাদের হাতছানি দেবে, অন্যায়ের পথে প্রলুব্ধ করবে, তোমরা সে পথে পা বাড়াবে না। ন্যায়বোধ ও সততা দিয়ে তা প্রতিহত করবে।”

অনুষ্ঠানে মোট ১৪৫৮ জনকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এছাড়া দুইজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণ পদক দেওয়া হয়।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেসের ডিন মাইল তারজিওভাস্কি।

আরও বক্তব্য রাখেন, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ,  ইউজিসি চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী, বিইউবিটি উপাচার্য মো. আবু সালেহ, বিইউবিটি ট্রাস্টের চেয়ারম্যান শফিক আহমেদ সিদ্দিক।